ক্যাটাগরি: আন্তর্জাতিক

ভিয়েতনামের কফি রফতানি কমেছে

ভিয়েতনামের কফি রফতানি চলতি বছরের জানুয়ারি-মে পর্যন্ত গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির জেনারেল স্ট্যাটিস্টিকস অফিস।

সরকারি প্রতিষ্ঠানটির দেয়া তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ভিয়েতনামের কফি রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে। এ সময় দেশটি মোট ৮ লাখ ৩৩ হাজার টন কফি রফতানি করেছে।

তবে রফতানি কমলেও জানুয়ারি-মে পর্যন্ত ভিয়েতনামের কফি রফতানি করে আয় বেড়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কফি রফতানি করে আয় ৪৪ শতাংশ বেড়ে ২৯০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কফি রফতানিকারক ভিয়েতনাম। বিশ্বব্যাপী রোবাস্তা ও অ্যারাবিকা কফির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। দেশটি রোবাস্তা কফির শীর্ষ সরবরাহকারী। ভিয়েতনাম থেকে কফি সরবরাহ কমে গেলে বিশ্বব্যাপী এ পণ্যের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী থাকে। তাই রফতানির পরিমাণ কমলেও এ খাতে দেশটির আয় বেড়েছে।

ভিকোফার জরিপ অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কফির ফলন ১৬-১৭ লাখ টনের মধ্যে থাকতে পারে, যা ২০২২-২৩ সালের ১৭ লাখ ৮০ হাজার টনের চেয়ে কম। তাই এমন অবস্থায় ভিয়েতনাম কফি শিল্পের টেকসই উন্নয়নের প্রতি জোর দিচ্ছে।

জেনারেল স্ট্যাটিস্টিকস অফিস প্রতিবেদনে আরো জানায়, ভিয়েতনামের চলতি মাসে চাল রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় দেশটি মোট ৯ লাখ ৮০ হাজার টন চাল রফতানি করেছে।

ভিয়েতনাম জানুয়ারি-মে মাস পর্যন্ত মোট ৪১ লাখ ৫০ হাজার টন চাল রফতানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। এছাড়া এ পাঁচ মাসে দেশটির চাল রফতানি আয়ও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৮ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। জানুয়ারি-মে পর্যন্ত এ খাতে দেশটির আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৫ কোটি ডলারে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ভিয়েতনাম বৈশ্বিক চাল রফতানিতে তৃতীয় শীর্ষ অবস্থানে। ভারত ও থাইল্যান্ডের পরই দেশটির অবস্থান। গত বছরও এ দেশ তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ চাল রফতানি করেছে। বিশ্বজুড়ে শস্যটির ঊর্ধ্বমুখী চাহিদার কারণে রফতানিতে এমন প্রবৃদ্ধি এসেছে।

উচ্চমূ্ল্য সত্ত্বেও গুণগত মান ও সতেজতার কারণে আমদানিকারকদের কাছে ভিয়েতনামের চালের কদর বেশি বলে জানান দেশটির ব্যবসায়ীরা। জমি থেকে সংগ্রহের পর অল্প সময়ের মধ্যেই দেশটি চাল রফতানি করে।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার