ক্যাটাগরি: আন্তর্জাতিক

হাইব্রিড গাড়ি ব্যবহারে বাড়ছে জ্বালানি ব্যয়

জ্বালানিসাশ্রয়ী হিসেবে হাইব্রিড গাড়ি পরিচিত হলেও চালক বা মালিক পর্যায়ে ভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে। উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ খরচের কথা বলে থাকে তার তুলনায় বছরে ৫০০ পাউন্ডের বেশি খরচ হচ্ছে। সম্প্রতি এক গবেষণা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। খবর দ্য গার্ডিয়ান

পরীক্ষাগারে প্লাগ ইন হাইব্রিড বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির (পিএইচইভি) জ্বালানি ব্যয়ের একটি পরীক্ষা চালানো হয়। উৎপাদনকারী কোম্পানির বিবৃতি অনুযায়ী, প্রতি বছর জ্বালানি বাবদ ব্যয় হওয়ার কথা ৫৬০ পাউন্ড। কিন্তু বাস্তবে তা দ্বিগুণেরও বেশি। একটি জলবায়ু গবেষণা গ্রুপের এনার্জি অ্যান্ড ক্লাইমেট ইন্টেলিজেন্স বিভাগের (ইসিআইইউ) তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে এ ব্যয় দ্বিগুণ বেড়ে ১ হাজার ৫৯ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির বাজার বিস্তারের অংশ হিসেবে উৎপাদনকারীরা প্লাগ ইন হাইব্রিড বাহন বাজারজাত শুরু করে। অন্যদিকে ২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যে অন্যান্যা গাড়ির তুলনায় পিএইচইভির বিক্রি দ্রুত বেড়েছে। হাইব্রিড গাড়িতে ছোট ব্যাটারি ও জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর কমবাশন ইঞ্জিন থাকে। এ কারণে এসব গাড়ি অধিক জ্বালানিসাশ্রয়ী হয়ে থাকে এবং কম কার্বন নিঃসরণ করে। এতে যে ব্যাটারি থাকে সেটি চার্জিং কেবলের মাধ্যমে চার্জ দেয়া যায় এবং ইঞ্জিন ব্যবহার ছাড়াই ৪০ মাইল পর্যন্ত চলতে সক্ষম।

বাজার বিশ্লেষকদের তথ্যানুযায়ী, অধিকাংশ যাতায়াতের ক্ষেত্রে পিএইচইভি ব্যাটারি ব্যবহার করা সম্ভব। কেননা গাড়িতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে ইংল্যান্ডের ৯৪ শতাংশ ভ্রমণের দূরত্ব ২৫ মাইলের কম। পারতপক্ষে গাড়ির মালিকরাও সচরাচর ব্যাটারি চার্জ করেন না। কমবাশন ইঞ্জিনের ওপরই তারা নির্ভরশীল।

২০২১ সালে প্রথমবারের মতো প্লাগ ইন হাইব্রিড বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি থেকে কার্বন নিঃসরণের হার পরীক্ষণ কেন্দ্রের তুলনায় সাড়ে তিন বেশি হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। মার্চে এক জরিপে ইউরোপিয়ান কমিশন এ তথ্য জানতে পারে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে ধারণা অনুযায়ী ব্যাটারি চার্জ না দেয়া ও কমবাশন ইঞ্জিনের অধিক ব্যবহার।

এমআই

শেয়ার করুন:-
শেয়ার