ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত সুন্দরবন। বনের বিভিন্ন স্থান থেকে নতুন আরো ৫৭টি হরিণ এবং চারটি শূকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে ৩৯টি হরিণ এবং একটি শূকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এ নিয়ে মোট ১০১টি বন্যপ্রাণীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। এ ছাড়া জীবিত ১৮টি হরিণ ও একটি অজগর উদ্ধার করা হয়েছে।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, রেমালের আঘাতে সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বন বিভাগের ফরেস্ট স্টেশন অফিস, ক্যাম্প ও ওয়াচ টাওয়ারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বনের ভেতরে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য যোগাযোগের মাধ্যম ওয়্যারলেস টাওয়ারও। মিষ্টি পানির পুকুর তলিয়েছে লবণাক্ত পানিতে।
খুলনা অঞ্চলের বনসংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে সুন্দরবনের অনেক ক্ষতি হয়েছে। জোয়ার-জলোচ্ছ্বাসের পানিতে সুন্দরবনের বেশিরভাগ অংশ প্লাবিত হয়েছে। মিঠা পানির পুকুরগুলো সব লবন পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ঝড়ের পরে বনের কটকা, কচিখালী , করমজল ,পক্ষীর চর, ডিমের চর, শেলারচর ও নারিকেলবাড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে হরিণের ৯৬টি মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। চারটি বন্য শুকরের মরদেহ পাওয়া গেছে। মৃত প্রাণী কটকা অভয়ারণ্য এলাকায় মাটিচাপা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভেসে আসা ১৮টি জীবিত হরিণ ও একটি অজগর উদ্ধার করা করা হয়েছে। যা বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
এমআই