কানাডায় বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশনার নিয়োগ পেয়েছেন নাহিদা সোবহান। তিনি বর্তমানে জর্ডানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। কানাডায় ড. খলিলুর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হবেন নাহিদা।
বুধবার (২৯ মে) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চাকরিজীবনে নাহিদা সোবহান রোম, জেনেভা ও কলকাতা মিশনে কাজ করেছেন। তিনি জাতিসংঘ ও মানবাধিকার উইংয়ের মহাপরিচালকের পাশাপাশি বহুপাক্ষিক অর্থনীতিবিষয়ক শাখার মতো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদা নেদারল্যান্ডসে পাবলিক ইন্টারন্যাশনাল আইন ও ফ্রান্সে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর পড়াশোনা করেছেন। তিনি দেশে এবং বিদেশে বেশ কয়েকটি পেশাদার প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করেছেন ও বহু দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। নাহিদা সোবহান ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায় পারদর্শী। তিনি আরবি ভাষাও শিখছেন।
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত ড. খলিলুর রহমান ২০২০ সাল থেকে কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছেন। দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরের মাথায় অর্থাৎ ২০২১ সালে তার চাকরির পূর্বনির্ধারিত মেয়াদ শেষ হলে সরকার দুই বছরের চুক্তিতে আবার তাকেই হাইকমিশনারের পদে বহাল রাখে।
পরে দ্বিতীয় দফার চুক্তিতে অর্থাৎ গত ৩১ অক্টোবর থেকে ছয় মাসের জন্য তার চুক্তি নবায়ন করা হয়। সেই হিসেবে চলতি বছরের এপ্রিলে মাসে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় ড. হাছান মাহমুদকে। নতুন মন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পর সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা নিয়ে একটি পোস্ট করেন খলিলুর রহমান। তিনি পোস্টে কারও নাম উল্লেখ না করে গুরুতর কিছু অভিযোগ উত্থাপন করেন।
পরে ২৫ ফ্রেবুয়ারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডি এম সালাহ উদ্দিন মাহমুদের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে, খলিলুর রহমানকে অটোয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের দায়িত্বভার ত্যাগ করে অবিলম্বে ঢাকা সদর দপ্তরে প্রত্যাবর্তন করতে বলা হয়।
১৯৮৫ ব্যাচের কর্মকর্তা খলিলুর রহমান দিল্লি ও জেনেভা মিশনে বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া তিনি ছুটি নিয়ে দীর্ঘদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় কাজ করেছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) থেকে এমবিবিএস পাস করা খলিলুর রহমান প্যারিস থেকে এমফিল ও জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক হেলথের ওপর পিএইচডি করেন।