দেশের মটিতে পা রেখেছেন সদ্য মাউন্ট এভারেস্ট ও লোৎসে বিজয়ী মো. বাবর আলী। তাকে সংবর্ধনা দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।
মঙ্গলবার (২৮ মে) বিমান বাংলাদেশের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলামের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
বিমান বাংলাদেশের বিজি ৩৭২ ফ্লাইটে কাঠমুন্ডু থেকে সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন পর্বতারোহী বাবর।
বিমানবন্দরেই তাকে সংবর্ধনা দেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক জনসংযোগ বোসরা ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক এয়ারপোর্ট সার্ভিস রাশেদুল করিমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্টের চূড়া জয় করেছেন বাবর আলী। সাইকেলিংয়ের পাশাপাশি এ পর্বত আরোহীর পায়ের চিহ্ন পড়েছে অসংখ্য পর্বতচূড়ায়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করা ৩৩ বছর বয়সী বাবর আলী শুরু করেছিলেন চিকিৎসা পেশা। তবে থিতু হননি। চাকরি ছেড়ে দেশ-বিদেশ ঘোরার কর্মযজ্ঞ শুরু করেন। রবিবার (১৯ মে) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় তিনি এভারেস্ট জয় করেন।
কিন্তু এর আগে তিনি সারগো রি (৪ হাজার ৯৮৪ মিটার), সুরিয়া পিক (৫ হাজার ১৪৫ মি.), মাউন্ট ইয়ানাম (৬ হাজার ১১৬ মি.), মাউন্ট ফাবরাং (৬ হাজার ১৭২ মি.), মাউন্ট চাউ চাউ কাং নিলডা (৬ হাজার ৩০৩ মি.), মাউন্ট শিবা (৬ হাজার ১৪২ মি.), মাউন্ট রামজাক (৬ হাজার ৩১৮ মি.), মাউন্ট আমা দাবলাম (৬ হাজার ৮১২ মি.) ও চুলু ইস্ট (৬ হাজার ০৫৯ মি.) পর্বতের চূড়ায় উঠেছেন।
এ ছাড়া গত বছরের ১৩ এপ্রিল কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর থেকে সাইকেলযাত্রা শুরু করেছিলেন বাবর আলী। এক মাসের চেষ্টায় প্রায় চার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী গিয়ে থেমেছিলেন তিনি। পথে যেতে যেতে ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মনোরম দৃশ্য অবলোকন করার সুযোগ হয়েছিল তার। এর আগে ২০১৯ সালে পরিবেশ রক্ষার ব্রত নিয়ে বাংলাদেশের ৬৪ জেলা হেঁটে পার করেন তিনি। এসব অভিযান নিয়ে লিখেছেন বইও।