পুঁজিবাজার
আসন্ন বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য ডিএসইর ৫ প্রস্তাব
পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পক্ষ থেকে আসন্ন ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে ৫টি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) ঢাকা ক্লাবে ডিএসইর প্রাক-বাজেট সংবাদ সম্মেলনে বাজেট প্রস্তাবনারগুলো তুলে ধরেন ডিএসইর চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা খাইরুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মাদ, প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সাত্তিক আহমেদ শাহ, পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, মোহাম্মদ শাহজাহান, রিচার্ড ডি’ রোজারিও, শরীফ আনোয়ার হোসেন, মহাব্যবস্থাপক মো. ছামিউল ইসলাম এবং মহাব্যবস্থাপক ও কোম্পানী সচিব মোহাম্মদ আসাদুর রহমান।
প্রস্তাবগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশের ওপর কেটে রাখা উৎসে কর চূড়ান্ত দায় হিসেবে নিষ্পত্তি, তালিকাভুক্ত কোম্পানির আয় কর কমানো, বন্ডের সুদজনিত আয়কে করমুক্ত রাখা এবং স্টক এক্সচেঞ্জে সিকিউরিটিজ লেনদেন হতে মূলধনী মুনাফার উপর নতুন করে কর আরোপ না করা।
বাজেট প্রস্তাবনায় দেশের প্রধান এই স্টক এক্সচেঞ্জটি তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির কর হার কমিয়ে তালিকা-বহির্ভূত কোম্পানির করহারের ব্যবধান ১২.৫ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব করেছে। বর্তমানে এই কর হারের ব্যবধান সাড়ে ৭.৫ শতাংশ।
তালিকাভুক্ত এবং অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে কর্পোরেট করের হারের পার্থক্য ৭.৫ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ বা ১২.৫ শতাংশ এ উন্নীত করা উচিত হবে। এজন্য তালিকাভুক্ত পাবলিকলি ট্রেডেড কম্পানির কর হার হ্রাস এর পাশাপাশি নন-পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানির করহার বৃদ্ধি করা যেতে পারে। ফলশ্রুতিতে, আরও বহুজাতিক এবং আর্থিকভাবে স্বচ্ছল স্থানীয় কোম্পানিগুলো এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত হবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, এ ধরনের একটি নজিরবিহীন পদক্ষেপ সরকারি শেয়ার তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দীর্ঘদিনের লালিত ও সমন্বিত প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশের কর সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অবদান প্রশংসনীয়। সংখ্যায় তুলনামূলকভাবে কম হওয়া সত্ত্বেও, আইনের যথাযথ আনুগত্য এবং প্রয়োগের কারণে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর প্রত্যক্ষ আয়কর বা রাজস্বের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। আমরা বিশ্বাস করি যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কার্যকর নির্দেশনা এবং স্টক এক্সচেঞ্জের নিবিড় পর্যবেক্ষণের অধীনে, তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার হ্রাস সত্ত্বেও কর্পোরেট আয়কর এর পরিমান আরও বৃদ্ধি পাবে।
স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের মাধ্যমে পরিচালিত সিকিউরিটিজ লেনদেনের মূল্য পরিশোধ কালে ০.০৫ শতাংশ (যেখানে স্টক এক্সচেঞ্জের আয় ০.০২৫ শতাংশ অর্থাৎ এক্সচেঞ্জের আয়ের চেয়ে দ্বিগুণ) হারে কর সংগ্রহ করে। এ করের হার আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। অতএব, আন্তর্জাতিক সর্বোত্তম অনুশীলনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এ কর কর্তনের হার হ্রাস করা প্রয়োজন।
লেনদেনের মূল্যের উপর উৎসে কর কর্তনের হার ০.০৫ শতাংশ হতে হ্রাস করে ০.০২০ শতাংশ করা যেতে পারে, যা ইতোপূর্বে ০.০১৫ শতাংশ ছিল।
লভ্যাংশ আয়ের উপর উৎস করকে, সঞ্চয় পত্রের মুনাফার উপর উৎসে কর্তনকৃত কর এর ন্যায় চূড়ান্ত করদায় হিসেবে বিবেচনা করা প্রয়োজন। করযোগ্য আয় গণনায় লভ্যাংশ আয়ের উপর প্রথম পঞ্চাশ হাজার টাকা কর ছাড় আয়কর আইন, ২০২৩-এ বাতিল করা হয়েছে কিন্তু এটি আটিও, ১৯৮৪-এর ষষ্ঠ তফসিল, পার্ট এ, প্যারা ১১এ- তে অনুমোদিত ছিল।
বর্তমান পুঁজিবাজারের পরিস্থিতি বিবেচনা করে, লভ্যাংশ আয়ের প্রথম ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত করযোগ্য আয়ের বাইরে রাখা উচিত হবে। এটি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সাহায্য করবে যা শেষ পর্যন্ত পুঁজিবাজারের সার্বিক লেনদেন বৃদ্ধি তথা কর রাজস্বের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে এবং পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।
এ বিষয়ে ডিএসইর যুক্তি, করোনা মহামারী ও তৎপরবর্তী ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের বৈশ্বিক প্রভাবে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে নাজুক পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে। ফলে পুঁজিবাজার মারাত্বক তারল্য সংকটে ভুগছে। প্রস্তাবিত বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হলে, তা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করবে এবং পুঁজিবাজারের তারল্য সংকট কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। কর-পরবর্তী মুনাফা থেকে কোম্পানিগুলো লভ্যাংশ দিচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, লভ্যাংশের উপর কর হল সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গুলোর জন্য এক ধরনের দ্বিগুণ এবং ক্ষেত্রভেদে তিনগুণ কর আরোপ। লভ্যাংশের উপর উৎস কর চূড়ান্ত কর হিসাবে বিবেচিত হলে, এটি বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে। যা বিভিন্ন শিল্প কল-কারখানায় অর্থ-সংস্থানে ভূমিকা রাখবে। তাতে পুঁজিবাজারের সার্বিক লেনদেন বৃদ্ধি, কোম্পানির মুনাফা ও লভ্যাংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে পুঁজি বাজারের মাধ্যমে কর রাজস্ব বৃদ্ধির সহায়ক হবে।
এছাড়া, জিরো কুপন বন্ডের মতো, স্টক এক্সচেঞ্জের যেকোনো বোর্ডে তালিকাভুক্ত যেকোনো কর্পোরেট বন্ড থেকে উদ্ভূত সুদ বা আয় ইস্যুকারী এবং বিনিয়োগকারী নির্বিশেষে কর অব্যাহতি বিবেচনা করা যেতে পারে বা সুকুক সহ সমস্ত ধরণের বন্ড এবং অ্যাসেট ব্যাকড সিকিউরিটিজ আয়কর আইন, ২০২৩ এর সেকশন ১০৬ থেকে বাদ দেয়া যেতে পারে।
এ বিষয়ে ডিএসইর যুক্তি, বর্তমানে কর্পোরেট বন্ড বাজারের আকার খুব ছোট হওয়ায় এটি পুঁজিবাজারের পাশাপাশি অর্থ বাজারে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা তৈরি করে। একটি প্রাণবন্ত বন্ড বাজার, অর্থনীতিকে বিভিন্ন উপায়ে সাহায্য করতে পারে। যদি সব ধরনের বন্ডে কর অব্যাহতি দেওয়া হয়, তাহলে এটি একটি প্রাণবন্ত বন্ড বাজার প্রতিষ্ঠা করতে উৎসাহিত করবে যা শিল্প স্থাপনে ব্যাংক ঋণের উপর নির্ভরতা হ্রাস করে অর্থ-সংস্থান কার্জক্রম সহজতর করবে।
স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ লেনদেন হতে মূলধনী মুনাফার উপর নতুন করে কর আরোপ না করার জন্য প্রস্তাবনা দিয়েছে ডিএসই।
পুঁজিবাজার তথা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা বিবেচনায় রেখে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত কোম্পানির সিকিউরিটিজ লেনদেন হতে অর্জিত মূলধনী মুনাফার উপর নতুন করে করারোপ না করার এবং স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ লেনদেন হতে এসআরও নং- ১৯৬-আইন/আয়কর/২০১৫) তে বর্ণিত কর হার হ্রাসের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ডিএসই।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লভ্যাংশ দেবে না সিএপিএম আইবিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড
সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি ইউনিট হোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) অনুষ্ঠিত ট্রাস্টি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) অনুষ্ঠিত ট্রাস্টি কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদন করা হয়। ফান্ড ম্যানেজার সিএপিএম অ্যাডভাইজরি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সর্বশেষ বছরে সিএপিএম আইবিবিএল মিউচুয়াল ফান্ডে ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। এ সময়ে ইউনিট প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৫৭ পয়সা। আগের বছর ইউনিট প্রতি ৫৩ পয়সা আয় হয়েছিল।
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে ক্রয় মূল্যে ফান্ডটির প্রতি ইউনিটের সম্পদ মূল্য ছিল ১০ টাকা ৮৫ পয়সা। ওইদিন বাজার মূল্যে ফান্ডের প্রতি ইউনিটের মূল্য ছিল ৮ টাকা ৬৭ পয়সা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ফারইস্ট ইসলামী লাইফের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন হয়েছে।
গত ২৫ আগস্ট রাজধানীর তোপখানা রোডের ফারইস্ট ইসলামী লাইফের নিজস্ব টাওয়ারে নতুন পরিচালনা পর্ষদের ২৫তম জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. ফখরুল ইসলাম এবং ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ডা. মো. মোকাদ্দেস হোসেন।
সভায় নতুন পর্ষদের সদস্য নাজনীন হোসেন, মোহাম্মদ শামছুল হক, মো. হেলাল মিয়া, আয়েশা হুসনে জাহান ও মুসলিমা শিরিন।
স্বতন্ত্র পরিচালক শেখ মোহাম্মদ শোয়েব নাজির, ডা. শাহিন সুলতানা জলি ও মো. মোশাররফ হোসেন।
দেশের শীর্ষস্থানীয় বীমা কোম্পানীটি অচিরেই গ্রাহক এবং জনগনের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের মাধ্যমে তার গৌরব ফিরে পাবে বলে আশা করেন ফারইস্ট ইসলামী লাইফের নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. ফখরুল ইসলাম।
এসময় ভাইস চেয়ারম্যান ডা. মো. মোকাদ্দেস হোসেন বলেন, বাংলাদেশে ইসলামী অর্থনীতি যে উদ্দেশ্য নিয়ে ফারইস্ট ইসলামী লাইফের যাত্রা শুরু হয়েছিল, গ্রাহক এবং আপামর জনসাধারণের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সপ্তাহজুড়ে ব্লকে সর্বোচ্চ লেনদেন ১০ কোম্পানির
বিদায়ী সপ্তাহে (২৫ আগস্ট থেকে ২৯ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ১০ কোম্পানির। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর ব্লকে এই ১০ কোম্পানির মোট ৩৭২ কোটি ৪১ লাখ ১০ হাজার টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিগুলো হলো- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড (বিএটিবিসি), রেনেটা, প্রাইম ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, যমুনা অয়েল, ড্যাফোডিল কম্পিউটার, বিচ হ্যাচারি, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এবং মিডল্যান্ড ব্যাংক।
সূত্র মতে, কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্লকে সবচেয়ে বেশি বিএটিবিসির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে ব্লকে কোম্পানিটির ১৬৮ কোটি ৭৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৪১৯ টাকা ৭০ পয়সা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেনেটার ৬৩ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৭৬১ টাকা ১০ পয়সা।
তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রাইম ব্যাংকের ৩০ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ২৩ টাকা ৯০ পয়সা।
সপ্তাহজুড়ে ব্লকে লেনদেন হওয়া অন্য ৭টি কোম্পানির মধ্যে- যমুনা ব্যাংকের ২৮ কোটি ৪৬ লাখ ২০ হাজার টাকা, যমুনা অয়েলের ২২ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ড্যাফোডিল কম্পিউটারের ১৫ কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার টাকা, বিচ হ্যাচারির ১৩ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা, প্রগতী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১০ কোটি ৩৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ১০ কোটি ৩৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৭ কোটি ৯০ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লোকসানে তিন খাতের বিনিয়োগকারীরা
বিদায়ী সপ্তাহে (২৫ আগস্ট থেকে ২৯ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক রিটার্নে দর কমেছে তিন খাতে। ফলে সাপ্তাহিক রিটার্নে লোকসানে রয়েছেন এই তিন খাতের বিনিয়োগকারীরা। একই সময়ে দর বেড়েছে ১৭ খাতে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে পেপার ও প্রিন্টিং খাতের। এই খাতে দর কমেছে ৪ দশমিক ১০ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ব্যাংক খাতে দর ০ দশমিক ৬০ শতাংশ কমে দ্বিতীয় স্থানে এবং ভ্রমণ অবকাশ খাতে দর ০ দশমিক ৩০ শতাংশ কমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
এছাড়া, আলোচ্য সপ্তাহে যে ১৭ খাতে দর বেড়েছে এদের মধ্যে বস্ত্র খাতে দর বেড়েছে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ৫ দশমিক ২০ শতাংশ, আর্থিক খাতে ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ, সেবা ও আবাসন খাতে ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ, সিরামিকস খাতে ৩ দশমিক ৯০ শতাংশ, তথ্য প্রযুক্তি খাত ও পাট খাতে সমান ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ২ দশমিক ৭০ শতাংশ, চামড়া খাতে ২ দশমিক ১০ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১ শতাংশ, বিবিধ খাতে ০ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং টেলিকমিউনিকেশন খাতে ০ দশমিক ৩০ শতাংশ।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১৭ খাতের বিনিয়োগকারীরা
বিদায়ী সপ্তাহে (২৫ আগস্ট থেকে ২৯ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক রিটার্নে দর বেড়েছে ১৭ খাতে। ফলে এই ১৭ খাতের বিনিয়োগকারীরা আলোচ্য সপ্তাহে মুনাফায় রয়েছে। একই সময়ে দর কমেছে ৩ খাতে।
ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে জীবন বিমা খাতের শেয়ারে। বিদায়ী সপ্তাহে এখাতে দর বেড়েছে ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রকৌশল খাতে দর বেড়ে ৯ দশমিক ২০ শতাংশ। একই সময়ে ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ দর বেড়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে সাধারণ বিমা খাত।
সাপ্তাহিক রিটার্নে অন্য ১৪ খাতের মধ্যে বস্ত্র খাতে দর বেড়েছে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ৫ দশমিক ২০ শতাংশ, আর্থিক খাতে ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ, সেবা ও আবাসন খাতে ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ, সিরামিকস খাতে ৩ দশমিক ৯০ শতাংশ, তথ্য প্রযুক্তি খাত ও পাট খাতে সমান ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ২ দশমিক ৭০ শতাংশ, চামড়া খাতে ২ দশমিক ১০ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১ শতাংশ, বিবিধ খাতে ০ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং টেলিকমিউনিকেশন খাতে ০ দশমিক ৩০ শতাংশ।
এসএম