ঘূর্ণিঝড় রিমাল ও রিমালপরবর্তী সময়ে দেশে তিন হাজার ৩৩৫ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছে, যা চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ। সন্ধ্যা ছয়টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে চট্টগ্রামে ২৩৫ মিলিমিটার। ঢাকায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৫১ মিলিমিটার, যা মৌসুমের সর্বোচ্চ বর্ষণ।
সোমবার (২৭ মে) রাতে এমন তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে কুতুবদিয়ায় ১৮৭ মিলিমিটার। এছাড়া সাতক্ষীরায় ১৭২ মিলিমিটার, খুলনায় ১৬৩ মিলিমিটার, গোপালগঞ্জে ১৫১ মিলিমিটার, বরিশালে ১৪৭ মিলিমিটার, সন্দ্বীপে ১৪৬ মিলিমিটার, চাঁদপুর ও ফেনীতে ১৩৯ মিলিমিটার, সীতাকুণ্ডে ১১৩ মিলিমিটার, মাইজদীকোর্টে ১০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। পাশাপাশি দেশের অন্যান্য স্থানেও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বর্ষণ হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের বিভিন্ন স্টেশনে ২৪ ঘণ্টায় মোট তিন হাজার ৩৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
তিন দিনের পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (২৮ মে) সব বিভাগে বজ্রসহ মাঝারি থেকে ভারি এবং কোথাও কোথাও অতিভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে।
বুধবার (২৯ মে) বৃষ্টিপাত আরেকটু কমে যাবে। কোথাও কোথাও হালকা, কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকলেও রাতের তাপমাত্রা তিন ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে।
এমআই