বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বাংলাদেশের তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ ছিল প্রস্তুতির অংশ। কিন্তু তাতে ধাক্কাই খেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমটির পর দ্বিতীয়টিতেও হেরে খুইয়েছে সিরিজ। শেষ ম্যাচে অবশ্য ১০ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে শান্ত-মুস্তাফিজরা।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্সে হতাশ বাংলাদেশের সমর্থকেরা। আনাড়ি এই দলটির বিপক্ষেই সিরিজ হারাকে হতাশাজনক বলছেন সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। বিশেষত সিরিজ হেরে যাওয়া মেনেই নিতে পারছেন না তিনি। অকপটে স্বীকার করলেন নিজেদের স্যান্ডার্ড না থাকাটাকে। নান্নু বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি সংস্করণে আমাদের যে স্ট্যান্ডার্ড এই জায়গায় আমরা কিন্তু অনেক পিছিয়ে। এটা কিন্তু মানতে হবে।’
রোববার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নান্নু টেনে আনলেন বিদেশি ফ্রাঞ্চাইজি লিগের কথা, ‘দেখুন, বাইরের দেশে যে লিগগুলো হয় আমাদের কয়টা খেলোয়াড় খেলে। আমাদের নিচের সারির বা কাছাকাছি মানের দল আফগানিস্তানের ১১-১২ জন বেশিভাগ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে।’
এবারের আইপিএলের কথাই ধরা যাক, চেন্নাইয়ের হয়ে খেলা মুস্তাফিজুরকে ছাড়া এবার বাংলাদেশের আর কাউকে দেখা যায়নি। এর আগে অবশ্য বেশ কয়েকটি মৌসুম খেলার অভিজ্ঞতা আছে সাকিব আল হাসানের। বাংলাদেশের যেখানে মাত্র একজন খেলছেন সেখানে আফগানিস্তানের ক্রিকেটার ছিলেন বেশ কয়েকজন। বিভিন্ন দলের হয়ে আইপিএল মাতিয়েছেন রশিদ খান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, নূর আহমেদ, নাভিন উল হক, রহমানুল্লাহ গুরবাজ, মোহাম্মদ নবিরা।
নান্নুর মতে, এই সংস্করণে শক্তিশালী হতে হলে অন্তত ৩-৪জনকে বাইরের লিগে খেলা উচিৎ। তিনি বলেন, ‘ওদের অভিজ্ঞতাটা অনেক। আমরাও যাচ্ছি আস্তে আস্তে আমাদের মুস্তাফিজ এবারের আইপিএলে যথেষ্ট ভালো খেলেছে এবং আমাদের আরও যদি ৩-৪ জন খেলোয়াড় গড়ে ৩-৪ টা লিগ খেলতে পারে তাহলে এই সংস্করণে আমরাও শক্তিশালী হবো। তারপরও এই সংস্করণ নিয়ে আগাম কিছু বলতে পারবেন না। একটা দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট আর আন্তর্জাতিকের মাঝে অনেক পার্থক্য আছে।’
বিদেশি ফ্রাঞ্চাইজি নিয়ে সাবেক এই প্রধান নির্বাচক ইতিবাচক হলেও ক্রিকেটারদের ছাড়পত্র দিতে অনীহা আছে বিসিবির। এবার তো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলার জন্য মুস্তাফিজকে পুরো মৌসুম খেলতে দেয়নি বিসিবি। এর কারণ হিসেবে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস চৌধুরী বলেছিলেন, ‘মুস্তাফিজুরের লার্নিং প্রসেস এখন শেষ। বরং মুস্তাফিজ থেকে শিখতে পারে আইপিএলের অনেক খেলোয়াড়রা। এতে বাংলাদেশের কোনো লাভ হবে না, মুস্তাফিজের কাছে থেকে অন্যদের লাভ হবে।’
জালাল ইউনুসের কথায় সুর মিলিয়েছিলেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও। তিনি বলেছিলেন, ‘মুস্তাফিজ খেললে আইপিএল লাভবান হত, আমরা কীভাবে লাভবান হব?’
এমআই