বঙ্গবন্ধুর আমলের মতো বিড়ির শুল্ক ও অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করে বিড়ি শিল্পকে কুটির শিল্প ঘোষণা দাবি জানান বিড়ি শ্রমিকরা। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মতো সরকার কর্তৃক শ্রমিকদের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা দাবি করে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির ষড়যন্ত্র বন্ধের আহ্বান জানান তারা।
রবিবার (২৬ মে) সকাল ১১ টায় রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানান বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন বৃহত্তর রংপুর অঞ্চল।
বৃহত্তর রংপুর অঞ্চল বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলুর সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন (বিএসসি)। প্রধান অতিথি ছিলেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের (রসিক) মেয়র মোস্তাফিজার রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন রংপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি সাফিউর রহমান সফি। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হারিক হোসেন।
বিড়ি শ্রমিক সবাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল গফুর, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান প্রমূখ।
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের (রসিক) মেয়র মোস্তাফিজার রহমান বলেন, বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্র থেকে দেশীয় প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্পকে বাঁচাতে হবে। সারাদেশে প্রায় ২০ লাখ শ্রমিক বিড়ি কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। শ্রমিকদের জীবন-জীবিকা ও কর্মসংস্থান রক্ষায় বিড়ি উপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করতে হবে। বিড়ি শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি করে বিড়ি শিল্পকে কুটির শিল্প হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।
সবাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমানে নিম্নস্তরের সিগারেট টোব্যাকো মার্কেটের ৭৫ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ দখল করে আছে। এসব নিম্নস্তরের সিগারেট ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির। দেশীয় শিল্পের প্রসার এবং শ্রমিক বান্ধব বিড়ি শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানীর নিম্নস্তরের ১০ শলাকার প্রতি প্যাকেট সিগারেটের মূল্য ৪৫ থেকে ৬৫ টাকা বৃদ্ধি করা হলে আরো ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরিত হবে। এছাড়া বিড়িতে অগ্রীম আয়কর ১০ শতাংশ আর সিগারেটে ৩ শতাংশ। সুতরাং বিড়ি শিল্পের উপর থেকে অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে।