অ্যাডভেন্ট ফার্মা ও এর নিরীক্ষক জাকের আহমেদ অ্যান্ড কোম্পানিকে সতর্ক করে এ বছরের ২৮ অক্টোবর এফআরসির চেয়ারম্যান ড. হামিদ উল্লাহ ভূঁঞা স্বাক্ষরিত চিঠি পাঠানো হয়। অ্যাডভেন্ট ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, আপনাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রদত্ত বক্তব্য এবং প্রেরিত তথ্য ও দলিলাদি পর্যালোচনা করে এফআরসি এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে পদত্যাগকারী বহির্নিরীক্ষকের জায়গায় আহমেদ জাকের অ্যান্ড কোম্পানি, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসকে নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ছিল না। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়মের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় এ বিষয়ে আপনাদের কঠোরভাবে সতর্ক করা হলো।
আহমেদ জাকের অ্যান্ড কোম্পানি, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, আপনাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রদত্ত বক্তব্য ও প্রেরিত দলিলাদি পর্যালোচনা করে এফআরসি এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে পদত্যাগকারী বহির্নিরীক্ষকের জায়গায় আপনাদের বহির্নিরীক্ষক হিসেবে নিয়োগ লাভ এবং নিরীক্ষাকাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও পূর্ণ পেশাদারিত্বের অভাব ছিল। ভবিষ্যতে এ ধরনের অপেশাদারি কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য আপনাদের কঠোরভাবে সতর্ক করা হলো।
এ বিষয়ে আহমেদ জাকের অ্যান্ড কোম্পানি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের ম্যানেজিং পার্টনার জাকের আহমেদ বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে পদত্যাগ করা নিরীক্ষকের কাছে চিঠি পাঠিয়ে তাদের মতামত নেয়া হয়েছে। তবে নিরীক্ষকের পরিবর্তনের বিষয়টি বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নেয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সময় না থাকার কারণে কোম্পানি ইজিএমের পরিবর্তে পরবর্তী এজিএমে বিষয়টি উত্থাপন করে। কোম্পানি কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে সচেতন থাকার প্রয়োজন ছিল।
অ্যাডভেন্ট ফার্মা ও এর নিরীক্ষককে সতর্ক করার পাশাপাশি যেসব নন-কমপ্লায়েন্স রয়েছে সেগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কাছে পাঠিয়েছে এফআরসি।
এফআরসির চেয়ারম্যান ড. হামিদ উল্লাহ ভূঁঞা এ বিষয়ে বলেন, আমাদের এনফোর্সমেন্ট বিভাগে পূর্ণকালীন নির্বাহী পরিচালক এখনো নিয়োগ হয়নি। ফলে বিদ্যমান নির্বাহী পরিচালকদের মধ্যে একজনকে চলতি দায়িত্ব দেয়ার মাধ্যমে এনফোর্সমেন্ট বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতাতায় প্রথমবারের মতো অ্যাডভেন্ট ফার্মা ও এর নিরীক্ষককে সতর্ক করার মাধ্যমে আমরা এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম শুরু করেছি। এখন থেকে ব্যত্যয় হলেই এফআরসি ব্যবস্থা নেবে।
প্রসঙ্গত, এ বছরের জানুয়ারিতে অ্যাডভেন্ট ফার্মার বার্ষিক প্রতিবেদন, বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) কার্যবিবরণী ও বোর্ড অডিট কমিটি সভার কার্যবিবরণী নিরীক্ষণ করে বেশকিছু গুরুতর অনিয়ম খুঁজে পায় এফআরসির নিরীক্ষাচর্চা পুনর্নিরীক্ষণ বিভাগ। এসব অনিয়মের মধ্যে রয়েছে বহির্নিরীক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, করপোরেট সুশাসন পরিপালনে ব্যর্থতা, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ ব্যবহারের বিষয়ে ব্যাখ্যা না দেয়া এবং করপোরেট গভর্ন্যান্স কমপ্লায়েন্স অডিটর কর্তৃক অমর্থিত কমপ্লায়েন্ট সার্টিফিকেট প্রদান।
অর্থসংবাদ/ এমএস