লোকসানে সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল

লোকসানে সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল
চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৪ পয়সা। সে হিসেবে কোম্পানিটি মুনাফা থেকে লোকসানে অবস্থান করছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৫১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে লোকসান হয়েছিল ২ পয়সা। সে হিসেবে কোম্পানির লোকসান বেড়েছে ৪৯ পয়সা বা ২৪৫০ শতাংশ। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ১ পয়সা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য উদ্যোক্তা ও পরিচালক বাদে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের পরিচালনা পর্ষদ। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২৬ পয়সা। ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৪ টাকা ৫৭ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৪ টাকা ৫৮ পয়সা।

২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরেও ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। ২০১৭ হিসাব বছরের জন্য ২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। তার আগে ২০১৬ হিসাব বছরে ২৫ শতাংশ নগদ এবং ২০১৫ হিসাব বছরে ১৫ শতাংশ নগদ ও ২৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।

এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের ইপিএস হয়েছে ১০ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৬৫ পয়সা।

প্রসঙ্গত, চিটাগং ভেজিটেবল অয়েল নামে ১৯৯০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় বর্তমান সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি। ফুলকপি ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেল ও গোল্ড কাপ ব্র্যান্ডের বাটার অয়েল ছিল তাদের মূল পণ্য। সে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে না পেরে ২০১৪ সালের এপ্রিলে কোম্পানিটি কনডেনসেট ফ্র্যাকশনেশনে যায়। চিটাগং ভেজিটেবল অয়েল কোম্পানি আগে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের অন্তর্ভুক্ত থাকলেও সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল নাম নেয়ার পর তা জ্বালানি ও বিদ্যুত্ খাতে চলে যায়।

বর্তমানে এ কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২৫ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৭ কোটি ৮৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ৫২ লাখ ৪৫ হাজার। এর ৫০ শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালক, ১৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক ২২ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও ৩০ দশমিক ১১ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত