সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমডি ও সিইও শফিউল আজিমকে সংবর্ধনা দিয়েছেন সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান কার্যালয় বলাকায় তাকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাবেক সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নির্বাহী পরিচালক, মহাব্যবস্থাপকেরা উপস্থিত ছিলেন।
শফিউল আজিম ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে যোগদান করেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যোগদানের পর থেকে তিনি বিমানকে একটি স্মার্ট এয়ারলাইন্স হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছেন। তার নিরলস প্রচেষ্টায় বিমান বাংলাদেশ আর্থিক সক্ষমতার এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে। বিমান এক অর্থ বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা আয় করেছে।
তার কার্যকালের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ একটি ড্যাশ ৮ কিউ ৪০০ উড়োজাহাজ ক্রয় করে, দুইটা বোয়িং ৭৭৭-৩০০ উড়োজাহাজের দেনা পরিশোধ করে মালিকানা লাভ করে। লিডো ফ্লাইট ৪ডি স্মার্ট ফ্লাইট ডিসপ্যাচ সল্যুশন সংযোজন করে, নারিতা, চেন্নাই, রোম ও গুয়াংজু রুট চালু করা হয়, নিজস্ব এয়ারক্রাফট দিয়ে হজ ফ্লাইট পরিচালনা, লাভের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়। প্রায় ৯০০ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ প্রদান, ১০০০ কোটি টাকার গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইক্যুইপমেন্ট যুক্ত করার প্রক্রিয়া করা হয়, প্রায় ১০০০ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদোন্নতি প্রদান করা হয়। গালফ এয়ারের সঙ্গে কোড শেয়ারিং চুক্তি , বিমান ফ্যানস ক্লাব গঠনসহ সোশ্যাল মিডিয়াতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রচার প্রচারণায় নতুন মাত্রা যোগ করা হয়। নিজ কর্ম প্রচেষ্টায় অল্প সময়ের মধ্যে তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে এক অনুকরণীয় আদর্শে পরিণত হয়েছেন।