ক্যাটাগরি: রাজধানী

এডিস মশা নিধনে মাসজুড়ে দেড় লাখ বাড়ি পরিদর্শন, জরিমানা তিন লাখ

এডিস মশা নিধনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মাসব্যাপী জনসচেতনতামূলক প্রচার অভিযান শেষ হয়েছে। এ একমাসে দেড় লাখ বাড়ি পরিদর্শন ও তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২২ এপ্রিল রাজধানীর মিরপুর রূপনগর এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে একযোগে ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে মাসব্যাপী জনসচেতনতামূলক প্রচার অভিযানের উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। মাসব্যাপী চলমান সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমের পাশাপাশি মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করা হয়। মশকনিধন অভিযানে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮টি বাড়ি পরিদর্শন করা হয় এবং এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১৬টি মামলায় ২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এ ছাড়া যেসব পরিত্যক্ত দ্রব্যাদিতে পানি জমে এডিসের লার্ভা জন্মাতে পারে সেসব দ্রব্যাদি সিটি করপোরেশন কিনে নিয়েছে। ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত পলিথিন, চিপসের প্যাকেট, আইসক্রিমের কাপ, দইয়ের কাপ, পুরোনো টায়ার, কমোড, রঙের কৌটা এগুলো জনগণ ডিএনসিসির কাউন্সিলরদের কাছে নগদ টাকা বিক্রি করছে।

এডিস মশা নিধনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মাসব্যাপী জনসচেতনতামূলক প্রচার অভিযান শেষ হয়েছে। এ একমাসে

পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি ও সেগুলো সংগ্রহের জন্য মূল্য তালিকা: চিপসের প্যাকেট বা সমজাতীয় প্যাকেট প্রতি পিস এক টাকা, আইসক্রিম, ডিসপোজেবল কাপ এক টাকা, ডাবের খোসা দুই টাকা, কনডেন্স মিল্কের কৌটা দুই টাকা, মাটি, প্লাস্টিক, সিরামিক, মেলামাইন তিন টাকা, অন্য পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের দ্রব্যাদি প্রতি কেজি ১০ টাকা, পরিত্যক্ত টায়ার প্রতি পিস ৫০ টাকা, পরিত্যক্ত পলিথিন প্রতি কেজি ১০ টাকা, পরিত্যক্ত স্যানিটারি ওয়্যার কমোড, বেসিন প্রতি পিস ১০০ টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছে।

ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধ ডিএনসিসির মাসব্যাপী চলমান সচেতনতামূলক প্রচার ও মশকনিধন অভিযান সম্পন্ন হয়েছে। এ অভিযানের লক্ষ্য ছিল জনগণকে সম্পৃক্ত করা। আমরা কাউন্সিলর ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের থেকে যে ফিডব্যাক পেয়েছি জনগণ এ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, রাজনীতিবিদ, ইমাম, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সবাইকে নিয়ে ডেঙ্গুনিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কে মতবিনিময় সভা ও সচেতনতামূলক র্যালি আয়োজন করা হয়েছে। ডিএনসিসি মেয়রের নির্দেশক্রমে দৈনন্দিন মশক নিধন কার্যক্রমের পাশাপাশি এ প্রচার কার্যক্রমও চলমান থাকবে।’

‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ওষুধ প্রয়োগ করা, পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করার পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা জরুরি। জনগণের মধ্যে বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে। এডিসের লার্ভা যেন জন্মাতে না পারে সেজন্য নিজেদের ঘরবাড়ি, অফিস পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ছাদে, বারান্দায়, পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা, মাটির পাত্র, খাবারের প্যাকেট, অব্যবহৃত কমোড এগুলোতে পানি জমতে দেওয়া যাবে না। বর্ষা শুরুর আগেই আমরা এ বছর ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করেছি।’

শেয়ার করুন:-
শেয়ার