বাংলাদেশের বরেন্দ্র অঞ্চলে সেচ ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় নেপাল। নেপালের কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের সেচ ব্যবস্থাপনা ও ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য সহযোগিতা কামনা করেছেন দেশটির বিদ্যুৎ, পানিসম্পদ ও সেচমন্ত্রী শক্তি বাহাদুর বাসনেত।
মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেলে ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন শহর বালিতে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক এক বৈঠকে এ সহযোগিতা কামনা করেন নেপালের বিদ্যুৎ, পানিসম্পদ ও সেচমন্ত্রী। ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন শহর বালিতে চলমান ১০ম ওয়ার্ল্ড ওয়াটার ফোরামের সাইডলাইনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. তারিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশ এবং নেপালের মধ্যে কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এসময় নেপালের মন্ত্রী বাংলাদেশের বরেন্দ্র অঞ্চলে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) প্রি-পেইড মিটারের মাধ্যমে সেচ ব্যবস্থাপনা ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেচ প্রযুক্তির প্রশংসা করেন এবং এ প্রযুক্তিটি নেপালের কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন। সম্প্রতি বরেন্দ্র অঞ্চলে সরেজমিনে প্রযুক্তিটি পরিদর্শন করেছে নেপালের একটি প্রতিনিধিদল।
নেপালে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশের বিনিয়োগ কামনা করেন নেপালের সেচমন্ত্রী শক্তি বাহাদুর বাসনেত এবং ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করা হবে বলেও জানান তিনি।
এসব বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।
কাফি