চলতি বছরের এপ্রিলে ভারতের পাম অয়েল আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৪ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় দেশটি মোট ৬ লাখ ৮৪ হাজার টন পাম অয়েল আমদানি করেছে। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে ভারতের বাণিজ্য সংস্থা সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (এসইএ) এ তথ্য জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমে যাওয়ায় দেশটি পাম অয়েল আমদানি বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এসইএর বিবৃতি অনুসারে, ভারত এপ্রিলে মোট ১৩ লাখ ৪ হাজার ৪০৯ টন ভোজ্যতেল আমদানি করেছে, যার মধ্যে ৫২ শতাংশই ছিল পাম অয়েল। এসইএ আরো জানায়, গত মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে টনপ্রতি পাম অয়েলের দাম ১০০ মার্কিন ডলার কমেছে। দাম কমে যাওয়ার কারণেই এ সময় পরিশোধিত, ব্লিচড, আরবিডি পামোলিন ও অপরিশোধিত পাম অয়েলের (সিপিও) আমদানি বাড়িয়েছে ভারত।
ভারত গত বছরের এপ্রিলে ১ লাখ ১২ হাজার ২৪৮ টন আরবিডি পামোলিন আমদানি করেছিল। চলতি বছরের একই সময়ে তা বেড়ে ১ লাখ ২৪ হাজার ২২৮ টনে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে দেশটির অপরিশোধিত পাম অয়েলের আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৬ শতাংশ বেড়ে ৫ লাখ ৩৬ হাজার ২৪৮ টনে দাঁড়িয়েছে, গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৮৫৬ টন।
এছাড়া গত বছরের এপ্রিলে ৩ হাজার ৯৯০ টন অপরিশোধিত পাম কার্নেল অয়েল আমদানি করেছিল ভারত। চলতি বছরের এ সময় তা প্রায় ছয় গুণ বেড়ে ২৩ হাজার ৬১৮ টনে দাঁড়িয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের দামও কমেছে। বাণিজ্য সংস্থা এসইএর দেয়া তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী সয়াবিন তেলের দাম টনপ্রতি ৪০ মার্কিন ডলার কমেছে, সূর্যমুখী তেলের দাম কমেছে টনপ্রতি ১৫ মার্কিন ডলার। দাম কমে যাওয়ায় এসব তেলের আমদানিও বাড়িয়েছে ভারত। এপ্রিলে দেশটি মোট ৬ লাখ ২০ হাজার ৩১৫ টন সূর্যমুখী ও সয়াবিন তেল আমদানি করেছে। এর মধ্যে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৫১৪ টন ছিল সয়াবিন তেল। গত বছরের একই সময় সয়াবিন তেল আমদানির এ পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৬২ হাজার ৪৫৫ টন। তবে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ভারতের সূর্যমুখী তেলের আমদানি কমেছে। দেশটি এপ্রিলে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৮০১ টন সূর্যমুখী তেল আমদানি করেছে, গত বছরের একই সময় যার পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৯ হাজার ১২২ টন।
এপ্রিলে ভারতের অভোজ্যতেলসহ সামগ্রিক উদ্ভিজ্জ তেল আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেড়ে ১৩ লাখ ১৮ হাজার ৫২৮ টন হয়েছে। গত বছর আমদানির এ পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ৫০ হাজার ১৮৯ টন।