অপ্রচলিত বা নতুন বাজারে তৈরি পোশাকের রপ্তানি বাড়াতে কূটনৈতিক সহায়তা চায় এ খাতের রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ। সম্ভাবনাময় বাজারগুলোয় রপ্তানি বাড়াতে দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে সহযোগিতা এবং ওই দেশগুলোয় স্থানীয়ভাবে আয়োজিত মেলায় অংশগ্রহণ, ক্রেতাদের সঙ্গে নেটওয়ার্কিং, রোড শো আয়োজন করা প্রয়োজন। এ জন্য সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোর সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে এসব বিষয়ে মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছে বিজিএমইএর একটি প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার মন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সভাপতি এস এম মান্নান কচি।
নতুন বাজারে রপ্তানির গুরুত্ব তুলে ধরে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিগত ১৫ বছরে সরকারের নীতি সহায়তার ফলে নতুন বাজারে পোশাক রপ্তানি মাত্র ৮৫ কোটি ডলার থেকে ৮৩৭ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। কূটনৈতিক সহায়তা পেলে রপ্তানি আয় আরও কয়েক গুণ করার সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন বাজার হিসেবে বিশেষ করে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর কথা উল্লেখ করেন তিনি।
এ ছাড়া স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) কাতার থেকে উত্তরণের পর রপ্তানি খাত যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে, সেসব মোকাবিলায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চান এস এম মান্নান।
জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে পোশাক খাতের অব্যাহত প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে নতুন বাজারে রপ্তানি বাড়াতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। সম্ভাবনাময় দেশগুলোয় রপ্তানি বাড়াতে শুল্ক বাধা দূর করার জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।
বিজিএমইএ প্রতিনিধি দলে ছিলেন সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আরশাদ জামাল (দীপু), মিরান আলী, আব্দুল্লাহ হিল রাকিব এবং পরিচালকদের মধ্যে ছিলেন ইমরানুর রহমান, সোহেল সাদাত, শামস মাহমুদ, রাজীব চৌধুরী, মহিউদ্দিন রুবেল, শেহরিন সালাম ঐশী, নুরুল ইসলাম ও সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী সাগর।