মজার সব খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয় কিশমিশ। এটি হলো শুকনো ফল। আঙুর শুকিয়ে তৈরি করা হয় কিশমিশ। শুধু যে মজার ডেজার্ট তৈরিতে ব্যবহার করা হয়, তা কিন্তু নয়। বরং কিশমিশ খাওয়া হয় আরও অনেকভাবেই। শুকনো এই ফলের আছে অসংখ্য উপকারিতা।
আঙুরে থাকা পটাশিয়াম হার্টকে ভালো রাখে, শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টরল দূর করে। যাদের রক্তস্বল্পতা রয়েছে তারা নিয়মিত কিশমিশ খেলে উপকার পাবেন কারণ এতে রয়েছে পর্যাপ্ত আয়রণ। কিশমিশে থাকা কার্বোহাইট্রেট শরীরে দ্রুত শক্তি জোগায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীদের রক্তস্বল্পতার সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। তাই চিকিৎসকরা নারীদের কিশমিশ খাওয়ার পরামর্শ দেন।
গুণে অনন্য এই কিশমিশ শুধু খেলেই হবে না। জানতে হবে এর সঠিক পদ্ধতিও। উপকার পেতে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ২ কাপ পানিতে কিছু কিশমিশ ভিজিয়ে রাখুন। কিশমিশের রং যেন গাঢ় হয় সেদিকে নজর রাখবেন। পরদিন সকালে সেই কিশমিশ ভেজানো পানিটুকু ছেঁকে নিন। এবার ছেঁকে নেওয়া পানি হালকা গরম করুন। এই পানি খেতে হবে খালি পেটে। এবার জেনে নিন খালি পেটে কিশমিশ খেলে কী উপকার পাবেন-
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিলে তা ডেকে আনে আরও অনেক অসুখ। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। সেজন্য খেতে হবে এমন সব খাবার যেগুলো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ ধরনের খাবারের মধ্যে অন্যতম হলো কিশমিশ। নিয়মিত কিশমিশ খেলে তা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এতে আছে পটাশিয়াম, যা সহজেই রক্তচাপ বশে রাখে। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা এড়াতে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কিশমিশ ভেজানো পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন।
রক্তস্বল্পতা দূর করে
কিশমিশে আছে আয়রন যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে কিংবা এ ধরনের সমস্যা এড়াতে নিয়মিত খেতে হবে কিশমিশ ভেজানো পানি। এতে আরও আছে তামা যা আমাদের রক্তে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে। বুঝতেই পারছেন কিশমিশ আমাদের জন্য কতটা উপকারী!
হজমের সমস্যা দূর করে
হজমশক্তি ভালো থাকলে অনেক অসুখই আপনার থেকে দূরে থাকবে। কারণ সুস্থ থাকার জন্য হজমশক্তি ভালো থাকা জরুরি। এই কাজে সাহায্য করতে পারে কিশমিশ। রাতে ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ সকালে ছেঁকে নিয়ে পানিটুকু হালকা গরম করে খেয়ে নিন। এভাবে প্রতিদিন খেলে দ্রুতই হজমের সমস্যা দূর হবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
করোনাভাইরাস মহামারির এই সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর প্রতি জোর দিচ্ছেন সবাই। তারই অংশ হিসেবে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কিশমিশ ভেজানো পানি খান। কারণ এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করে এবং বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
টক্সিন দূর করে
শরীর থেকে টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে চাইলে নিয়মিত কিশমিশ ভেজানো পানি খেতে হবে। আমাদের চারপাশের বিভিন্ন দূষণের কারণে শরীরে সহজেই বিষাক্ত পদার্থ জমে যায়। শরীর বিষমুক্ত করতে কিশমিশ ভেজানো পানি বেশ উপকারী।