আইটি খাতে রপ্তানি আয় প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি দারিদ্র্যের সীমা ছাড়িয়ে অনেক উচ্চতায় পৌঁছেছে। ১৫ বছর আগে আইটি খাতে রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ১.৯ বিলিয়ন ডলার।

তিনি বলেন, আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) মানুষের জীবনধারাকে যেমন সহজ করবে ঠিক তেমনি এটি সভ্যতার জন্য একটি বড় ঝুঁকি। প্রযুক্তির এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশেষ করে এআই-এর বিরূপ প্রভাব সামলাতে সরকার আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। পাশাপাশি ইন্টারনেটের ২০ এমবিপিএস গতিকে ব্রডব্যান্ড হিসেবে সংজ্ঞায়িত করতে এবং ইন্টারনেট সুলভ ও সহজলভ্য করতে ২০২৪ সালের মধ্যেই নতুন ব্রডব্যান্ড নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।

শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পর্যায়ে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ এ বছর প্রথমবারের মতো ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগসহ টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি খাতের সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশীজনদের নিয়ে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্যসংঘ দিবস উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে আইটিইউ-এর সদস্যপদ অর্জন করেন এবং যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়েও বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্ব তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দুনিয়ায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করেন। ১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবসের পাশাপাশি এ দিনটি জাতীয় জীবনের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ সজীব ওয়াজেদের পরিকল্পনায় ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির মতো দুঃসাহসিক ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন কর্মসূচি না নিলে আজকের এই বাংলাদেশ আমরা পেতাম না। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিগত বছরগুলোর বিস্ময়কর সফলতা ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলাদেশকে নেতৃত্বদানকারী দেশের কাতারে শামিল করেছে।

এমআই

শেয়ার করুন:-
শেয়ার