ক্যাটাগরি: পুঁজিবাজার

ডিএসইর সতর্কবার্তার প্রভাবে নেতিবাচক শেয়ারবাজার

টানা দরপতন শেষে নতুন করে বেশ কয়েকদিন ধরে ঘুরে দাড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছিলো দেশের শেয়ারবাজার। অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি ও সূচক ছিলো উত্থানে। এতে আশার আলো দেখছিলো বিনিয়োগকারীরা। তবে হঠাৎ আজ সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে বড় পতন হয়েছে। এদিন ৩৪৩ কোম্পানির দরপতনের সঙ্গে প্রধান সূচক কমেছে ৮১ পয়েন্টের বেশি। এর প্রধান কারণ হিসাবে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ভুল পদক্ষেপকে দুষছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, সম্প্রতি বেশ কিছু কোম্পানির লেনদেন ও শেয়ারদর নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে ডিএসই। এছাড়া ব্রোকারেজ হাউজে এসকল কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগকারীদের বিও অ্যাকাউন্টের (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) তথ্য চাওয়া হয়েছে। যার ফলে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে এসব কোম্পানিতে লেনদেন থেকে সরে আসছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পরেছে শেয়ারবাজারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, টানা দরপতন খরা কাটিয়ে ঈদের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে উত্থানে ফিরছিলো দেশের শেয়ারবাজার। এমতাবস্থায় তালিকাভুক্ত কোম্পানি এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, লাভেলো আইসক্রিম, সাইফ পাওয়ারটেক, মিথুন নিটিংসহ বেশকিছু কোম্পানির শেয়ার নিয়ে সতর্কবার্তা দেয় ডিএসই। কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বৃদ্ধির পেছনে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আছে কিনা জানতে কোম্পানিগুলোকে নোটিশ পাঠায়। এছাড়া, ব্রোকারেজ হাউজে এসকল কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্সের তথ্য চাওয়া হয়েছে। এতে এসব কোম্পানির শেয়ার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ও শঙ্কা সৃষ্টি হয়। ফলে এর প্রভাব পরে লেনদেনের উপর।

সূত্র মতে, আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) দেশের প্রধান শেয়ারবাজারে বড় পতন দেখা গেছে। এদিন প্রধান সূচক কমেছে ৮১ পয়েন্টের বেশি। এদিন লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৩৪৩টিরই দরপতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে দিনের শুরুতে সূচক ও লেনদেনে উর্ধ্বমুখী প্রবণতা ছিলো। দিনের একটা সময় তালিকাভুক্ত কোম্পানি এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের শেয়ারদর নিয়ে সতর্কবার্তার খরব আসে। এছাড়া, সম্প্রতি কোম্পানিগুলোর শেয়ার নিয়ে ডিএসইর সতর্কবার্তায় হঠাৎ এ বড় পতনের কারণ বলে মতে করছে বিনিয়োগকারী ও বাজার সংশ্লিষ্টরা।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যখনি কোনো কোম্পানি শেয়ার লেনদেন ও দরবৃদ্ধি পেতে থাকে তখনি ডিএসই সেসব কোম্পানিগুলোর শেয়ার নিয়ে সতর্কবার্তা দেয়। দর বৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠায়। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং সেসব কোম্পানিগুলোর শেয়ার ক্রয় থেকে বিরত থাকে। ফলে এসব কোম্পানির শেয়ার লেনদেন ও দর কমতে থাকে। ফলস্বরূপ এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে পুরো পুঁজিবাজারে। সম্প্রতি পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেন দুটিই উত্থানে ছিলো তবে ডিএসইর এমন সিদ্ধান্তে আজ হঠাৎ পতন হয়েছে।

এসএম

শেয়ার করুন:-
শেয়ার