গত তিন মাস একাধারে বেড়েই চলেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের শেয়ারদর। এসময়ে কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ২৪৩ শতাংশের বেশি। তবে অস্বাভাবিকভাবে শেয়ারদর বাড়লেও কোম্পানির কাছে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে ডিএসই। এর জবাবে কোম্পানিটি জানায় কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ার দর বাড়ছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ০৬ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ২২ টাকা। সোমবার (১৩ মে) শেয়ারদর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ ৪১ কার্যদিবসে বা তিন মাসে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৫৩ টাকা ৫০ পয়সা বা ২৪৩ দশমিক ১৮ শতাংশ।
উল্লেখ্য, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের আইপিও আবেদন গত বছরের ১৬ জানুয়ারি শুরু হয়ে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত চলার কথা ছিল। ২০২২ সালের আগস্টে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৮৩৭তম সভায় বুক বিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওর মাধ্যমে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজকে পুঁজিবাজার থেকে ৯৫ কোটি টাকার মূলধন উত্তোলনের অনুমোদন দেয়া হয়। উত্তোলিত অর্থে কোম্পানিটি ব্যবসা সম্প্রসারণ, উৎপাদন ভবন নির্মাণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ ও ইস্যু ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করবে। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল শাহজালাল ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আগে কোনো ধরনের লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না বলে শর্তারোপ করেছে বিএসইসি।
গত বছরের ১৫ জানুয়ারি ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিটির সম্পদের ভ্যালুয়েশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় এর সাবস্ক্রিপশন প্রক্রিয়া স্থগিত করেছিল বিএসইসি। পরবর্তী সময়ে সার্বিক দিক বিবেচনা করে গত বছরের ২৮ নভেম্বর বিএসইসির ৮৮৯তম কমিশন সভায় আলোচ্য স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
কাফি