সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়তে নগরবাসীকে দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
সোমবার (১৩ মে) দুপুরে ডিএনসিসির নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার চার বছরপূর্তি উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ডিএনসিসি।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমার প্রতি নগরবাসীর আস্থা-বিশ্বাসই আমার কাজের শক্তি। ঢাকাকে বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সব প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে শেষ পর্যন্ত কাজ করে যাবো। আজ সব প্রাপ্তি নগরবাসীর, ব্যর্থতা আমার।
তিনি বলেন, আমার মেয়াদের (আর এক বছর) পরবর্তীসময়ে নতুন ১৮ ওয়ার্ডের উন্নয়নকাজ শেষ করা এবং খাল উদ্ধারে সর্বাধিক গুরুত্ব দেবো। পাশাপাশি কারওয়ান বাজার হস্তান্তর ব্যাপারটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েই কাজ করবো।
সংবাদ সম্মেলনে খালের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতির বিষয়ে মেয়ব বলেন, সেনাবাহিনী তাদের কাজ করে যাচ্ছে। সিএস, আরএস, এসএ তিনটি ধাপ পার করে কাজটি করা হচ্ছে। পিলার নির্ধারণের ক্ষেত্রে একেক খালের বেলায় ভিন্ন মাপে পিলার বসাতে গিয়ে কিছু জায়গায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এরই মধ্যে ১২০০ মতো পিলার বসানো হয়েছে।
ডেঙ্গু নিধনে হাজার কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। কিন্তু মশা নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এজন্য নতুন কৌশল নেওয়া হচ্ছে না কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, কোভিডের সময় ৫৪টা ওয়ার্ডে দ্বারে দ্বারে গিয়েছি। এখনো ক্যাম্পেইনের ওপর জোর দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। বিটিআই (বাসিলাস থুরিনজেনসিস ইসরায়েলেনসিস) এনে ফেল করেছি এ কথাটা সত্যি নয়, আমরা এখন সরাসরি বিটিআই আনছি। নতুন সংযোজন টারবাইন মেশিন আনা হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে কীটতত্ত্ববিদ আনা হয়েছে। ডেঙ্গু নিধনে ডেঙ্গুর আবাসস্থল (পরিত্যক্ত পণ্য) কিনে নেওয়া হচ্ছে।