টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। টি-টোয়েন্টির সিরিজ জিতেছেন। তবু অস্বস্তি যেন কাটছে না বাংলাদেশের জন্য। কারণ বাংলাদেশের ব্যাটিংটাই যে আদতে টি-টোয়েন্টিসুলভ না। বাংলাদেশ দলের ব্যাটারদের কাছ থেকে ভালো স্ট্রাইকরেটের ব্যাটিং দেখা যায়নি পুরো সিরিজে। ফ্ল্যাট উইকেটে ১৫০ বা ১৬০ যে নিরাপদ না তা বেশ ভালোভাবেই টের পেয়েছে টাইগাররা।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে শান্তর কাছে ঘুরেফিরে এলো সেই স্ট্রাইকরেট প্রসঙ্গ। অধিনায়ক শান্ত নিজে ভুগেছেন রানখরায়। দলের বাকিদের অবস্থাও অনেকটা তেমনই। তবে স্ট্রাইকরেট প্রশ্নে তার বক্তব্য ভিন্ন। অধিনায়ক শান্ত বলেন, ‘আমার কাছে সেটা মনে হয় না। কারণ আমাদের দেশে স্ট্রাইক রেট নিয়ে অনেক কথা হয়। স্ট্রাইক রেট, স্ট্রাইক রেট…কিন্তু জিনিসটা হলো যে আপনি যদি চিন্তা করেন আমরা সম্প্রতি ভালো উইকেটে খেলা শুরু করেছি। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যে টি-টোয়েন্টি সিরিজটা খেললাম, ওটা ভালো উইকেটে খেলেছি। কিন্তু এই জিনিসটা সময় দিতে হবে।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা যদি লম্বা সময় ধরে ভালো উইকেটে খেলার শুরু করি, ছয় মাস, এক বছর, দুই বছর তারপর আপনি দেখবেন প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যান ভালো স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করছে। এটা শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হলে হবে না, আমরা যে বিপিএলে খেলি ওই জায়গাতেও ভালো উইকেটে খেলতে হবে অনেক লম্বা সময় ধরে তারপর আপনি এই পার্থক্যটা দেখতে পাবেন।’
আইপিএলে রানের বন্যা দেখা গিয়েছে এবারে। প্রায় ম্যাচেই ছিল দুইশ এর বেশি রান। এমন রানবন্যার প্রসঙ্গে শান্তর ভাষ্য, ‘আমার তো মনে হয় না। কারণ আইপিএল যে উইকেটে হয়েছে..আইপিএলের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মেলানোই যাবে না। আমার মনে হয় লাস্ট ইয়ার পিএসএলেও এরকম রান হয়েছে, ২০০ প্লাস, আড়াইশ রানও হয়েছে । কিন্তু আন্তর্জাতিকে আমি যতটুকু জানি ১৬০ থেকে ১৭৫-১৮০, ২০০ রান যদি কোনো দল করে এটা খুব ভালো স্কোর।’
এমআই