সারা বিশ্বে আজ (১২ মে) পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব মা দিবস’। দিনটিতে পৃথিবী জুড়ে সব মায়েদের সম্মান, ভালোবাসা জানিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন মানুষজন। বিশ্বব্যাপী মা দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল লোগো পরিবর্তন করা হয়েছে। দিবসটিতে তারা তৈরি করেছে বিশেষ ডুডল।
শনিবার দিবাগত রাত বারোটার পরই গুগল এই ডুডল প্রকাশ করেছে। যা রোববার (১২ মে) সারাদিন থাকবে।
এবারের মা দিবসে গুগলের ডুডলটিতে একজন মায়ের জীবনের সুন্দর একটি সময়ের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। ডুডলটি এমন একটি দৃশ্য উপস্থাপন করে যেখানে, মাকে তার সন্তানের সঙ্গে সময় কাটাতে দেখা যায়৷ একজন মা এবং তার সন্তানের মধ্যে একটি বিশুদ্ধ বন্ধনের প্রতিফলন তুলে ধরেছে গুগল ডুডল।
এই ডুডলটির সামনের অংশে একজন মায়ের চিত্র দেখা যায়। তাকে দেখা যায়, একটি ঘরে সোফায় বসে তার সন্তানের সঙ্গে কথা বলছেন। ব্যাকগ্রাউন্ডে ‘গুগল’ শব্দ সহ একটি কুকুর এবং কিছু গাছপালা রয়েছে।
মূলত, মায়ের ত্যাগ ও অসীম ভালোবাসাকে সম্মান জানিয়েই, মা দিবস উপলক্ষ্যে ১২ মে ডুডল সমস্ত মাকে সম্মান জানিয়ে এই বিশেষ ডুডল উৎসর্গ করেছে। কয়েক বছর ধরেই মা দিবসে এমন বিশেষ ডুডল প্রচার করে আসছে গুগল।
আধুনিক মা দিবসের প্রচলন হয় যুক্তরাষ্ট্রে। দিবসটির প্রবক্তা অ্যানা মারিয়া রিভস জার্ভিস। তার মা অ্যান মারিয়া রিভস জার্ভিস ছিলেন একজন শান্তিবাদী সমাজকর্মী। তিনি ‘মাদারস ডে ওয়ার্ক ক্লাব’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
১৯০৫ সালে অ্যান মারা যান। তার মৃত্যুর পর মেয়ে আনা মায়ের স্বপ্ন পূরণে কাজ শুরু করেন। সব মাকে শ্রদ্ধা জানাতে একটি দিবস প্রচলনের লক্ষ্যে সচেষ্ট হন তিনি।
১৯০৮ সালে পশ্চিম ভার্জিনিয়ার একটি গির্জায় আনা তার মায়ের স্মরণে অনুষ্ঠান করেন। একই বছর মার্কিন কংগ্রেস মা দিবসকে স্বীকৃতি দিয়ে সরকারি ছুটি ঘোষণার প্রস্তাব নাকচ করে। তবে তাতে দমে যাননি আনা। তিনি তার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে মা দিবস পালিত হতে থাকে।
অবশেষে আনার প্রচেষ্টা সফল হয়। ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। দিনটি সরকারি ছুটি ঘোষিত হয়।
বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে ‘বিশ্ব মা দিবস’
রোববার (১২ মে) সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে বিশ্ব মা দিবস। সরকারের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকেও বিশ্ব মা দিবস ২০২৪ উদযাপন করতে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এতে জেলা পর্যায়ে উপপরিচালকদের জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, আবাসিক বা অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং ডে-কেয়ার কর্মকর্তাদেরও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে দিবসটি উদযাপন করতে কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দিবসটি উদযাপন করতে জেলা, উপজেলা, আবাসিক ও অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ডে-কেয়ার সেন্টারে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে বাজেট পাঠানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।