বাংলাদেশ বলেই বোধ হয় সম্ভব! একটা সময় যে দলের স্কোর মনে হচ্ছিল দুইশর কাছাকাছি চলে যেতে পারে, সেই দলটিই ২০ ওভারের আগেই অলআউট হয়ে গেলো ১৪৩ রানে।
শতরানের ওপেনিং জুটির পর ৪২ রানে ১০টি উইকেট হারিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ১৯.৫ ওভারে হয়েছে অলআউট। অর্থাৎ জিততে হলে জিম্বাবুয়েকে করতে হবে ১৪৪।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং পায় বাংলাদেশ। অফফর্মে থাকা লিটন দাস একাদশে নেই। তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন সৌম্য সরকার।
ঝড়টা অবশ্য তানজিদ তামিমই তোলেন। পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে যে ৫৭ রান তোলে বাংলাদেশ, তার মধ্যে ৪১ রানই তামিমের। এই রান তিনি করেন ২৭ বল খেলে। সৌম্য কেবল সাপোর্ট দিয়ে গেছেন পাওয়ার প্লেতে।
দুজন দারুণ খেলে গেছেন এরপরও। ১১ ওভারে বিনা উইকেটে ১০০ করে বাংলাদেশ। তবে ১২তম ওভারে এসে জোড়া ধাক্কা। লুক জঙউই ভাঙেন ৬৮ বলে ১০১ রানের ওপেনিং জুটি।
মারকুটে তামিম ৩৪ বলে ফিফটি করেন। তবে ফিফটির পর ইনিংস আর বড় করতে পারেননি। ৩৭ বলে ৭ চার আর ১ ছক্কায় ৫২ রান করে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন তিনি। ওই ওভারেই তার আরেক সঙ্গী সৌম্য এলবিডব্লিউ হন। ৩৪ বলে ৪১ রানের ইনিংসে ৩টি বাউন্ডারি আর দুটি ছক্কা হাঁকান তিনি।
তাওহিদ হৃদয় শুরুটা করেছিলেন ভালো। কিন্তু এবার ৮ বলে ১২ রানেই সিকান্দার রাজার ঘূর্ণিতে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় তাকে। পরের ওভারে সাকিব আল হাসান ৩ বলে ১ করে বোল্ড হন বেনেটের বলে।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দলকে বাঁচাবেন কী, ওই ওভারেই বোল্ড হন তিনিও। ৭ বলে অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ২ রান।
বিনা উইকেটে ছিল ১০১। সেখান থেকে আর ২২ রান তুলতে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। ১২৩ রানে ৫ উইকেট খোয়ানোর পর জাকের আলিও হাল ধরতে পারেননি। ৭ বলে ৬ করে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি টাইগাররা।
জিম্বাবুয়ের লুক জঙউই ২০ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন। ২টি করে উইকেট নেন রিচার্ড এনগারাভা আর ব্রায়ান বেনেট।