কানের ব্যথা ওটালজিয়া নামেও পরিচিত। এটি বেশ কষ্টদায়ক হতে পারে এবং কানে ব্যথার অর্থ হলো ভেতরের কোনো সমস্যার লক্ষণ প্রকাশ। সঠিক রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ হলেও বেশ কয়েকটি ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে যা কানের ব্যথা এবং অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
কানের ব্যথার সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো কানের সংক্রমণ, যা বাইরের, মধ্যম বা ভিতরের কানকে প্রভাবিত করতে পারে। অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে ময়লা তৈরি হওয়া, বায়ুচাপের পরিবর্তন, সাইনাস সংক্রমণ এবং আঘাত।
ভাপ নেওয়া
কানের ব্যথার একটি সহজ ঘরোয়া প্রতিকার হলো আক্রান্ত কানে উষ্ণ ভাপ প্রয়োগ করা। কানের কাপড় গরম করে বা হট ওয়ার ব্যাগ রাখলে তা ব্যথা উপশম করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে খেয়াল রাখবেন তাপ যেন সরাসরি ত্বকে না লাগে। বরং সুতির ও নরম কোনো কাপড়ে হট ওয়াটার ব্যাগ মুড়িয়ে নিন।
রসুন
আরেকটি কার্যকর প্রতিকার হলো রসুন তেল ব্যবহার করা। রসুনের প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। রসুনের একটি কোয়া থেতো করে তাতে এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি সামান্য গরম করুন এবং তারপর ছেঁকে নিন। আক্রান্ত কানে কয়েক ফোঁটা রসুনের তেল দিন এবং সেই জায়গায় আলতো করে ম্যাসাজ করুন।
চুইংগাম
আপনি যদি বিমানে থাকেন বা উচ্চ উচ্চতায় গাড়ি চালান এবং আপনার কানে ব্যথা বাতাসের চাপের পরিবর্তনের কারণে ব্যথা হয় তবে চুইংগাম চিবিয়ে নিন। এটি সেই চাপ কমাতে এবং আপনার ব্যথা দূর করতে সাহায্য করবে। তাই ভ্রমণের সময় সঙ্গে চুইংগাম রাখতে পারেন।
সোজা হয়ে ঘুমান
যদিও এটি অদ্ভুত শোনাতে পারে, তবে বিশ্রাম বা ঘুমিয়ে থাকা আপনার কানের তরল নিষ্কাশন করতে সাহায্য করতে পারে। এটি আপনার কানে চাপ এবং ব্যথা কমাতে পারে। বালিশের স্তুপ দিয়ে বিছানায় আধশোয়া হয়ে অথবা একটু হেলান দিয়ে রাখা আর্মচেয়ারে ঘুমান।
আদা
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ দ্বারা প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে আদার প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আদার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান কানের ব্যথা থেকে প্রশমিত হতে সাহায্য করে। কানের চারপাশে আদার রস বা আদা দিয়ে গরম করা তেল লাগান। সরাসরি কানে লাগাবেন না।