ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, আমাদের দেশের অনেক হজযাত্রী আছেন যারা তিল তিল করে জমানো সঞ্চয় দিয়ে হজ করে থাকেন। তাদের আবেগ অনুভূতিকে সম্মান দেখাতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের হজ ফ্লাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, হজযাত্রীদের সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব। এ কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ অন্যান্য এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাবো আপনারা সর্বোচ্চ সেবা দেবেন। হজযাত্রীদের লাগেজ লোডিং-আনলোডিংয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করবেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হজযাত্রী পরিবহনে অন্যতম ক্যারিয়ার উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, হজযাত্রা যাতে আরামদায়ক হয় এবং কোনোভাবে যাতে যাত্রীরা কষ্ট না পান, সে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া তাদের স্ন্যাক্স বা খাবারের দিকে বিশেষ যত্ন নিতে হবে।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং সৌদি সরকারের যৌথ ব্যবস্থাপনায় হজের সাতটি কার্যক্রম সম্পাদিত হয়ে থাকে। আমরা উভয় দেশই পারস্পরিক যোগাযোগ এবং সমন্বয়ের মাধ্যমে এ কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে যাচ্ছি। হজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা তাদের সর্বোত্তম সেবা দিতে বদ্ধপরিকর। আল্লাহর রহমতে এবার সেবায় কোনো সমস্যা হবে না। প্রত্যেকের প্রতি আমাদের দায়িত্ব আছে, যার যার আঙ্গিকে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৬ হাজার ৫২৭ জন পবিত্র হজ পালনে যাবেন। এরমধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৫০ শতাংশ হাজিদের পরিবহন করবে। বাকি যাত্রী পরিবহন করবে সৌদি এয়ারলাইন্স ও ফাইনান্স এয়ারলাইন্স। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
কাফি