ব্যাংক
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংবাদ সম্মেলন বয়কট করলেন সাংবাদিকরা
সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সুরাহা না হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সংবাদ সম্মেলন বয়কট করেছেন ব্যাংক বিটের সাংবাদিকরা। বুধবার (৮ মে) দুপুর আড়াইটায় সংবাদ সম্মেলন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বয়কট করে বেরিয়ে আসেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর হাবিবুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হকসহ ব্যাংকটির কর্মকর্তারা। সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে সাংবাদিকরা জানতে চান গণমাধ্যমকর্মীদের তথ্য সংগ্রহে প্রবেশ ইস্যুর বিষয়ে সুরাহা হয়েছে কি-না। সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে সংবাদ সম্মেলনটি বর্জনের ঘোষণা দেন সাংবাদিকরা।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে প্রবেশাধিকার নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে আসছেন ব্যাংক বিটের রিপোর্টাররা। তাদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছে বিভিন্ন সংগঠন। ইতোমধ্যে টিআইবি, নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) ও সম্পাদক পরিষদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ), ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) নিন্দা জানিয়েছে।
পৃথক পৃথক বার্তায় সংগঠনগুলো জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে এমন অলিখিত এ নিষেধাজ্ঞা স্বাধীন সাংবাদিকতা, গণতন্ত্র এবং মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী।
এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাসহ নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে সাংবাদিকদের। তবে মেলেনি সমাধান। পরে গত ২৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অবস্থান নেন। পরে ওইদিন বেলা ১১টায় ইআরএফের সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম ব্যাংকে প্রবেশ সংক্রান্ত জটিলতা সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপরও বিষয়টি সমাধান হয়নি।
আলোচনা শেষে ওইদিন (২৫ এপ্রিল) ইআরএফ সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা নেই। তবে, বর্তমানে কড়াকড়ি অবস্থানে আছে। এর আগে কখনও এমন কঠোর হতে দেখিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। এসব সমাধানে গভর্নরের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তারা (বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ) ৮ মের পর ব্যাংক বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে। কীভাবে আগের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকে অবাধে প্রবেশ করা যায়, সেই বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
ওইদিনের বৈঠকে শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এখন থেকে সাংবাদিকরা ব্যাংকের নির্দিষ্ট অনুমতিপত্র (প্রবেশ পাস) নিয়ে শুধু মুখপাত্রের কাছে যেতে পারবেন। তবে, কোনো কর্মকর্তা যদি সাংবাদিকদের পাস দেন, সেক্ষেত্রে তারা শুধু সেই কর্মকর্তার কাছে যেতে পারবেন। তবে, আগের মতো তারা অবাধে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো বিভাগে প্রবেশ করতে পারবেন না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তোলার বিষয়ে নতুন নির্দেশনা
চলতি সপ্তাহে ব্যাংক থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের সীমা বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যা আগের সপ্তাহে ছিল চার লাখ টাকা। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে বলে ব্যাংকগুলোকে খুদে বার্তা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
শনিবার (৩১ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা এমডিদের এক জরুরি বার্তায় এই নির্দেশনা দিয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, একজন গ্রাহক ৫ লাখের বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করতে না পারলেও যেকোনো পরিমাণ টাকা আরেক হিসাবে স্থানান্তর ও ডিজিটাল লেনদেন করতে পারবেন।
জানা গেছে, সরকার পরিবর্তনের পর নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ কিছুটা বেড়ে যায়। বিশেষ করে আওয়ামীপন্থি রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী পরিবার থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ দেখা যায়। এসব অর্থ যাতে কোনোভাবেই সন্ত্রাসী বা অবৈধ কাজে ব্যবহৃত না হয়, সে জন্য নগদ টাকা উত্তোলন কিছুটা নিরুৎসাহিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে, আগে ১৭ আগস্ট অ্যাকাউন্ট থেকে উত্তোলনের সীমা ৩ লাখ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তারও আগে গত ১০ আগস্ট বলা হয় অ্যাকাউন্ট থেকে দুই লাখ টাকার বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করা যাবে না। তারও আগে ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার এক লাখ টাকার বেশি নগদ উত্তোলন করতে পারেনি গ্রাহক।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে টানা ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন দুঃশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতার অবসান ঘটে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
ইউসিবির নতুন চেয়ারম্যান শরীফ জহির
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির (ইউসিবি) নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন শরীফ জহির। আজ ইউসিবির কর্পোরেট অফিসে অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া তরুণ শিল্পোদ্যোক্তা তানভীর খান ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
পর্ষদ সভায় ব্যাংকের ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো: সাজ্জাদ হোসেন। এ ছাড়া ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রধান হয়েছেন মো. ইউসুফ আলী এবং অডিট কমিটির প্রধান হয়েছেন চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট ওবায়দুর রহমান এফসিএ।
ইউসিবির পরিচালনা পর্ষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শরীফ জহীর একজন সিআইপি এবং বাংলাদেশে ব্যবসা ও শিল্প খাতে কর্পোরেট গভর্ন্যান্স প্রতিষ্ঠার অন্যতম পথপ্রদর্শক। তিনি পোশাক ও বস্ত্র খাতের স্বনামধন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনন্ত গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার নেতৃত্বে অনন্ত গ্রুপ ৪০০ মিলিয়ন ডলার বার্ষিক টার্নওভার এবং ৩১ হাজার জনেরও বেশি লোকের কর্মসংস্থান করেছেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস, অস্টিন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অর্থনীতি ও অর্থশাস্ত্রে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি অনন্ত টেরেসের মতো টেকসই উদ্যোগের প্রতিষ্ঠাতা।
শরীফ জহির বর্তমানে বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ২০১৩-২০২৫ মেয়াদে তিনি ইউসিবির ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি প্রখ্যাত শিল্পপতি, সমাজসেবক ও ইউসিবির অন্যতম উদ্যোক্তা মরহুম হুমায়ুন জহীরের ছেলে।
নির্বাচিত নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান তানভীর খান জে কে গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনিও একজন সিআইপি। তিনি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ইউসিবির অন্যতম উদ্যোক্তা মো: জাহাঙ্গীর আলম খাঁনের বড় ছেলে। তানভীর খান চট্টগ্রাম সমিতি, সাভার গলফ ক্লাব, ঢাকা বোট ক্লাব, বিজিএমইএ অ্যাপারেল ক্লাব এবং গুলশান ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। তিনি বাংলাদেশ ফিলিপাইন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিপিসিসিআই) বোর্ডে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া ২০১৬-১৭ করবর্ষে চল্লিশ বছরের কম বয়সী সর্বোচ্চ করদাতা হিসাবে সম্মানিত হয়েছিলেন।
ব্যাংকের ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক, যার ব্যাংকিং ও অর্থনীতির উপর ব্যাপক জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা রয়েছে। এছাড়া ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রধান ইউসুফ আলীর বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিচালক পদে বর্ণাঢ্য কর্মজীবন রয়েছে। অডিট কমিটির প্রধান ওবায়দুর রহমান একজন বিশিষ্ট চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক হলেন এনবিআর চেয়ারম্যান
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব আবদুর রহমান খানকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। আগামী ৩ বছরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের শূন্য পদে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব ও সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে সই করেছেন উপ-সচিব আফছানা বিলকিস।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২ (প্রেসিডেন্ট অর্ডার ১২৭ অব ১৯৭২)-এর আর্টিকেল ৯(৩)(ডি) অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব ও এনবিআর’র চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের পরিবর্তে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের বর্তমান সচিব ও এনবিআর’র চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের শূন্য পদে ৩ বছরের মেয়াদে (বর্তমান পদে থাকা সাপেক্ষে) পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হলো।
এর আগে গত ১৪ আগস্ট অর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আবদুর রহমান খানকে এনবিআর চেয়ারম্যান করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান পদ থেকে আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
বন্যার্তদের জন্য ২৩ কোটি টাকা দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা ও নোয়াখালীসহ বন্যাকবলিত জেলাবাসীর সহায়তায় ২৩ কোটি টাকা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (২৯) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালক (কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড পাবলিকেশন্স) মহুয়া মহসীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল হতে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে ২২ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগস্ট ২০২৪ মাসের বেতন হতে এক দিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ এক কোটি টাকা অর্থাৎ মোট ২৩ কোটি টাকা প্রদান করা হবে।
এ ছাড়া এ তহবিল থেকে ‘জুলাই বিপ্লবে’ হতাহতদের সাহায্যে গঠিতব্য ফাউন্ডেশনে পাঁচ কোটি টাকা প্রদান করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালক পর্ষদ (বুধবার ২৮ আগস্ট) অনুষ্ঠিত ৪৩৬তম পর্ষদ সভায় অর্থনৈতিক সংকটময় অবস্থা, বন্যা পরিস্থিতিসহ দেশের সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
আন্দোলনে হতাহতদের পাঁচ কোটি টাকা দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
কোটা সংস্কার ও সরকার পতনের আন্দোলনে আহত ও নিহতদের সাহায্যে গঠিত ফাউন্ডেশনের হিসাবে পাঁচ কোটি টাকা দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।
কোটা সংস্কার ও সরকার পতনের আন্দোলনে দেশে সহস্রাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন এবং প্রায় চার শতাধিক মানুষ দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি বলেন, আন্দোলনকে ঘিরে যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের দায়দায়িত্ব সরকার নেবে এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হবে।
নূরজাহান বেগম বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এখন পর্যন্ত এক হাজারের ওপরে নিহত হয়েছেন এবং ৪০০ জনের ওপরে ছাত্র-জনতা দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। অনেকের এক চোখ অন্ধ হয়ে গেছে, অনেকে দুই চোখেই দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। আমেরিকার সেবা নামক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। যাদের চোখ অন্ধ হয়ে গেছে বা চোখে সমস্যা দেখা দিয়েছে, আমরা সেবা ফাউন্ডেশনকে তাদের তালিকা পাঠিয়েছি।