আমাদের প্রতিদিনের খাবারে দই রাখা উপকারী একথা কম-বেশি সবারই জানা। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন যে প্রতিদিন এক বাটি দই খেলে আমরা কী স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারি? দই তৈরি হয় দুধ থেকে এবং এটি ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি-২, ভিটামিন বি -১২, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো বেশ কয়েকটি প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে ভরা। দইয়ের একটি সুবিধা হলো এটি হালকা এবং দুধের চেয়ে সহজে হজম হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক দই খাওয়ার উপকারিতা-
১. হজমের জন্য ভালো
দই একটি দুর্দান্ত প্রোবায়োটিক (একটি উপাদান যাতে জীবন্ত ব্যাকটেরিয়া থাকে)। এই ভালো এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলো অন্ত্রের কার্যকলাপকে উন্নত করতে, স্ফীত পাচনতন্ত্রকে প্রশমিত করতে এবং পেট খারাপের সমস্যা দূর করতে পরিচিত।
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
দই খেলে তা রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং অন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখে। অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি দল দ্বারা পরিচালিত একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন ২০০ গ্রাম দই খেলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সাহায্য করে।
৩. সুন্দর এবং স্বাস্থ্যকর ত্বক
দই খেলে তা আমাদের ত্বকে ময়েশ্চারাইজিং প্রভাব ফেলে এবং এটি শুষ্ক ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে নিরাময় করে। কিছু নির্দিষ্ট গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার কারণে অনেকেই ব্রণের সমস্যায় ভোগেন। দই একটি অন্ত্রের কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে যা স্বাস্থ্যকর ত্বক বজায় রাখে। দই দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাকও একটি চমৎকার সৌন্দর্য উপাদান কারণ এতে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে, যা এক্সফোলিয়েটর হিসাবে কাজ করে এবং সমস্ত মৃত কোষ ও দাগ দূর করে।
৪. উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস করে
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন (AHA) এর উচ্চ রক্তচাপ গবেষণা বৈজ্ঞানিক সেশনে উপস্থাপিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা বেশি চর্বিহীন দই খেয়েছেন তাদের উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় ৩১ শতাংশ কম। পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো পুষ্টির পাশাপাশি দইয়ের বিশেষ প্রোটিনগুলো উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এবং একটি স্বাস্থ্যকর হৃদপিণ্ডকে উন্নীত করতে সাহায্য করে।
৫. হাড়ের জন্য ভালো
ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার অনুযায়ী এক কাপ দই (২৫০ গ্রাম) এ প্রায় ২৭৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। ক্যালসিয়ামের দৈনিক ডোজ শুধুমাত্র হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে সাহায্য করে না বরং হাড়কে শক্তিশালীও করে। এতে চর্বি এবং ক্যালোরি কম থাকে এবং তাই এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।