দেশের শেয়ারবাজারের উন্নয়নে গুজব ঠেকাতে তৎপর বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ গোয়েন্দা সংস্থা ডিবি। পুঁজিবাজার নিয়ে কারসাজি ও গুজব ঠেকাতে কাজ করে যাচ্ছে সংস্থাটি। এরই লক্ষে পুঁজিবাজারের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে বড় বিনিয়োগকারী ও সমবায় কর্মকর্তা আবুল খায়ের হিরুকে আলোচনার জন্য ডাকে ডিবি। শেয়ারবাজারের উন্নয়নে গুজব প্রতিহত করতে সরকারের সকল গোয়েন্দা সংস্থা, বড় বিনিয়োগকারীরা (মার্কেট প্লেয়ার) ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা একযোগে কাজ করবে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় তাকে ডিবির প্রধান কার্যালয়ে আলোচনার জন্য ডাকেন ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ। পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিককালের নানা সমস্যা বিষয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে হিরুকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে ডিবি সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, দেশের অর্থনীতির সব সূচক যখন ইতিবাচক তখন একটি চক্র পুঁজিবাজারকে অস্থিতিশীল করতে কারসাজি করছে। যার বলি হচ্ছে সাধারন বিনিয়োগকারী। এ অবস্থায় পুঁজিবাজারের নানা সমস্যা চিহ্নিত করণের মাধ্যমে দূরীকরণ করতে সক্রিয় হয়েছেন ডিবি। সংস্থাটি এই লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যার জন্য বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার অংশ হিসাবে বড় বিনিয়োগকারী হিসাবে হিরুকে আলোচনার জন্য ডাকে ডিবি। শেয়ারবাজার নিয়ে ডিবি প্রধানের সঙ্গে হিরুর এ আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে সূত্র জানায়।
সূত্র আরও জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ পুঁজিবাজারে কয়েকটি চক্র অস্থিতিশীল তৈরী করে আসছে। কারসাজির মাধ্যমে ফায়দা লুটে আসছে তারা। বিনিয়োগকারীদের সুবিধার কথা ভেবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পাশাপাশি ডিবিও উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে। এরই অংশ হিসেবে বড় বিনিয়োগকারী হিসেবে হিরুকে আলোচনার জন্য ডাকা হয়। বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে ডিবির আলোচনার এই কর্মকান্ড অব্যাহত রাখা হবে।
পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারী ও সমবায় কর্মকর্তা আবুল খায়ের হিরু নিজের চাকরির পাশাপাশি বড় ফান্ড ব্যবস্থাপনার কাজ করে থাকেন।
এর আগে, পুঁজিবাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির অভিযোগে গত ২৬ এপ্রিল রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর একাধিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করেন ডিবি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবি সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের (দক্ষিণ) উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শহীদুল ইসলামের নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুর রহমান আজাদের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ডিবির এই কার্যক্রমে আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে পুঁজিবাজারে। বিনিয়োগকারীরা গুজব ও কারসাজির হাত থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাচ্ছেন। তারা ডিবির এই কর্মকান্ড অব্যাহত রাখার দাবি জানান।