মুরগির পর এবার দাম বাড়তে শুরু করেছে ডিমের। গত চার দিনে খুচরা পর্যায়ে ডজনে বেড়েছে ৫ থেকে ১৫ টাকা। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, চার-পাঁচ দিন ধরে পাইকারি বাজারে একটু একটু করে বেড়েছে। ফলে খুচরায় এর প্রভাব পড়ছে।
রোজার মধ্যে ডিমের ডজন নেমেছিল ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। ঈদের পর থেকে এ দরেই পাওয়া গেছে ডিম। গতকাল রোববার ঢাকার কারওয়ান বাজার, তেজকুনিপাড়া ও তেজগাঁও কলোনি বাজারে দেখা গেছে, ফার্মের প্রতি ডজন বাদামি ডিম ১৩৫ টাকা আর সাদা ডিম ১২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
চার দিন আগে বাদামি ডিমের ডজন ১২০ থেকে ১২৫ ও সাদা ডিম ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় কেনা গেছে। সেই হিসাবে বাদামি ডিম ডজনে ১০ থেকে ১৫ আর সাদা ডিমে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।
দর বাড়ার ব্যাপারে কারওয়ান বাজারের ডিম ব্যবসায়ী রবিউল বলেন, তিন-চার দিন ধরে পাইকারি বাজার গরম। প্রতিদিন প্রতি ১০০ পিস ডিমে ২০ থেকে ৩০ টাকা করে বাড়ছে। এজন্য খুচরা বাজারেও বাড়তে শুরু করেছে।
প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, গত চার দিনে পাইকারিতে তারা প্রতি ১০০ সাদা ডিমে ১৮০ টাকা এবং ১০০ বাদামি ডিমে ১৫০ টাকা বাড়িয়েছেন। অথচ খামারির কাছ থেকে এই ডিম কয়েক দিন আগে পিসপ্রতি ২ থেকে ৩ টাকা কম দামে কিনে নিয়েছেন তারা।
এদিকে বাজারে মুরগির দর আগে থেকেই বাড়তি। এখন প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২১০ থেকে ২২০ এবং সোনালি জাতের মুরগি ৩৭০ থেকে ৩৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরকারি সংস্থা টিসিবির বাজার দরের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, গত এক সপ্তাহে ব্রয়লারের কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে।
এমআই