মালয়েশিয়ায় সাময়িকভাবে কেএফসির ১০০টিরও বেশি আউটলেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গাজায় চলমান যুদ্ধের কারণে ফিলিস্তিনের পক্ষে বয়কটের জেরে বিশ্বজুড়ে মার্কিন-সংশ্লিষ্ট ব্যবসাগুলো এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। খবর নিক্কেই এশিয়া।
মালয়েশিয়ায় কেএফসির রেস্তোরাঁ পরিচালনা করে স্থানীয় প্রতিষ্ঠান কিউএসআর ব্র্যান্ডস। প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি জানিয়েছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে কিছু আউটলেট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে কিউএসআর জানিয়েছে, বন্ধ আউটলেটের কর্মচারীদের খোলা থাকা অন্য স্টোরে কাজ করার সুযোগ দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি বলছে, ১৮ হাজার কর্মী নিয়ে ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখছে কিউআরএস। তারা বরাবরই গ্রাহকদের মানসম্পন্ন পণ্য ও পরিষেবা দেয়ার দিকে মনোযোগী। এছাড়া দেশটিতে কর্মীদের প্রায় ৮৫ শতাংশ মুসলিম।
স্থানীয় সংবাদপত্র নানিয়াং সিয়াং পাউয়ের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেএফসির মোট ১০৮টি আউটলেট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মালয়েশিয়ায় কিউআরএস প্রায় ৬০০টি কেএফসি স্টোর পরিচালনা করে।
সেলাঙ্গর রাজ্যের সুবাং জায়ার এক কেএফসি কর্মী জানান, সপ্তাহ দুয়েক আগে স্থানীয় আউটলেটটি অস্থায়ীভাবে বন্ধ করার নির্দেশ আসে।
গত ২ মে আউটলেটটি ফের পানীয় বিক্রি শুরু করে। তবে তখনো দোকানের সাজসজ্জা স্বাভাবিক হয়নি, চেয়ার ও টেবিল স্তূপ অবস্থায় ছিল।
এ বিষয়ে এক ক্রেতা বলেন, ‘ফিলিস্তিনে দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে আমাদের বার্তা দেখানোর জন্য বয়কট খুবই কার্যকর হয়েছে। তবে কেএফসির চাকরির ওপর নির্ভরশীলদের পরিবার নিয়েও আমি উদ্বিগ্ন।’
কয়েক মাস ধরে স্টারবাকস, ম্যাকডোনাল্ডসসহ মার্কিন খাদ্য ও ভোক্তা ব্র্যান্ডগুলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ বিশেষ করে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় বয়কটের লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। কারণ হিসেবে গ্রাহকরা বলছেন, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইসরায়েলকে সমর্থন করছে।
এমআই