বছরের সবচেয়ে উত্তপ্ত মাস এপ্রিল শেষ হয়েছে। মাসজুড়ে সূর্যের রোষানল টের পেয়েছে দেশের মানুষ। দিন যতই গড়িয়েছে সেই রোষের তীব্রতায় পুড়েছে প্রকৃতি। শেষদিকে তাপদাহ ছাড়িয়েছে সহনীয় সীমা। ৭২ বছরে প্রথমবারের মতো ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রার সাক্ষীও হয়েছে দেশের মানুষ। এপ্রিলের তুলনায় চলতি মে মাসে দেশজুড়ে তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি একাধিক কালবৈশাখীর ও একটি ঘূর্ণিঝড়ও সংঘটিত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (২ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, চলতি মাসের মাঝামাঝি অর্থাৎ ১৫ তারিখের পর বঙ্গপোসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এরমধ্যে একটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। মে মাসে দেশে বৃষ্টিপাত বাড়বে এবং গরমের তীব্রতা কমে আসবে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দেওয়া এ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিই হতে পারে। তবে এর মাঝেও দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে তিনটি মৃদু ও মাঝারি এবং এক থেকে দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ফলে এ মাসেও দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকার সম্ভাবনা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
মে মাসের তাপমাত্রা এপ্রিল মাসের চেয়ে কিছুটা কম থাকবে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হলেও তাপমাত্রা একটু বেশি থাকতে পারে। তবে তা এপ্রিলের মতো অবস্থায় যাবে না। তাপপ্রবাহ এত দীর্ঘ সময় ধরে থাকবে না।
মে মাসে তিন থেকে পাঁচ দিন হালকা ধরনের কালবৈশাখী হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আর দুই থেকে তিনদিন বজ্র–শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি ও তীব্র কালবৈশাখী হতে পারে।
এদিকে এ মাসেই দেশের উত্তরাঞ্চল বা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের (সিলেটসহ হাওর অঞ্চলে) নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়তে পারে। কিছু কিছু জায়গায় তা অতিক্রম করতে পারে বিপৎসীমাও।
এমআই