ক্যাটাগরি: আন্তর্জাতিক

বৈশ্বিক প্লাস্টিক দূষণে ১১ শতাংশ দায় কোকা-কোলার

বিশ্বজুড়ে প্লাস্টিকের ক্রমবর্ধমান ব্যবহারে নষ্ট হচ্ছে প্রকৃতি-পরিবেশ। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনেও এর প্রভাব পরিলক্ষিত। তবে এ ধরনের দূষণে বৈশ্বিক ভোক্তাপণ্য জায়ান্টগুলোর অবদান সবচেয়ে বেশি। মাত্র পাঁচটি কোম্পানিই বৈশ্বিক প্লাস্টিক বর্জ্যের এক-চতুর্থাংশের জন্য দায়ী বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দায় পানীয় ও স্ন্যাকস জায়ান্ট কোকা-কোলার।

সায়েন্স অ্যাডভান্সেস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে দেখা যায়, ২০১৮-২২ সাল পর্যন্ত সংগ্রহ করা প্লাস্টিক বর্জ্যগুলোর এক-চতুর্থাংশ এসেছে পাঁচটি কোম্পানির উৎপাদিত পণ্য থেকে। গবেষণাটি পরিচালনা করেছে মুর ইনস্টিটিউট ফর প্লাস্টিক পলিউশন রিসার্চ।

চার বছরে সংগ্রহ করা ১৮ লাখেরও বেশি বর্জ্যের মধ্যে নয় লাখেরও বেশি ব্যবহার হয়েছে পরিচিত পণ্য ব্র্যান্ডে। গবেষকরা দেখেছেন, বৈশ্বিক প্লাস্টিক বর্জ্যের বেশির ভাগের উৎস হিসেবে ৬০টিরও কম কোম্পানি। এর মধ্যে ২৪ শতাংশের উৎস হিসেবে পাঁচটি কোম্পানিকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

গবেষণায় দেখা যায়, পানীয় ও স্ন্যাকস জায়ান্ট কোকা-কোলা একাই বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের ১১ শতাংশের উৎস। এ গবেষণায় দূষণে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখা কোম্পানি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এটি। শীর্ষ পাঁচ কোম্পানির বাকি চারটি হলো পেপসিকো, নেসলে, ড্যানোন ও আলট্রিয়া। এর মধ্যে আলট্রিয়া তামাকজাতীয় পণ্য বাজারজাত করে। বাকি শীর্ষ পাঁচের তিনটি কোকা-কোলার মতোই খাদ্য ও পানীয় জায়ান্ট।

প্লাস্টিক ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে আনুপাতিক হারে দূষণও বাড়ে বলে জরিপে দেখা গেছে। প্রতি ১ শতাংশ প্লাস্টিকের ব্যবহার বাড়লে দূষণে ১ শতাংশ বেশি অবদান রাখে।

প্লাস্টিক দূষণ কমানোর অন্যতম পদক্ষেপ হিসেবে পুনর্ব্যবহারকে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু প্লাস্টিকবিরোধী একটি সংস্থার তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে পুনর্ব্যবহারের জন্য যে পদক্ষেপগুলো নেয়া হয়েছে তা পরিস্থিতির পরিবর্তনে যথেষ্ট নয়। ফেব্রুয়ারিতে ক্লাইমেট ইন্টেগ্রিটি নামের সংস্থাটি এক প্রতিবেদনে জানায়, বেশির ভাগ প্লাস্টিক সম্পূর্ণরূপে পুনর্ব্যবহার হয় না। এর বদলে ভূমিতে গিয়ে জমা হচ্ছে। লরেন্স বার্কলে ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীদের পৃথক এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্লাস্টিক শিল্প থেকে উষ্ণায়নে ভূমিকা রাখা গ্যাসের পরিমাণ চার গুণ পর্যন্ত নির্গত হয়।

এমআই

শেয়ার করুন:-
শেয়ার