সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইয়ে তৈরি হতে যাচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর টার্মিনাল। মূলত ক্রমবর্ধমান যাত্রী চাহিদা পূরণে এ পদক্ষেপ হাতে নেয়া হয়েছে। আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এ কাজ সমাপ্ত হওয়ার পর বার্ষিক ২৬ কোটি যাত্রী সেবা নিতে পারবেন। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
এ বাবদ একাধিক প্রকল্পে আগামী ১০ বছরে খরচ হবে ৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। অঞ্চলটির প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম সম্প্রতি এ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানান, নতুন টার্মিনালটি দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালের তুলনায় পাঁচ গুণ বড় হবে।
কভিড-১৯ মহামারীর কারণে বৈশ্বিক এভিয়েশন শিল্প বড় ক্ষতির মুখে পড়ে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। তবে ধীরে ধীরে এ খাত পুনরুদ্ধার হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে0বিমানবন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে দুবাই কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সব কার্যক্রম আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থানান্তর হবে। এর আগে ২০০৯ সালে উদ্যোগ নেয়া হলেও অর্থনৈতিক সংকটের কারণে প্রক্রিয়াটিতে দেরি হয়।
শেখ মোহাম্মদ এক অনলাইন বিবৃতিতে বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নতুন এ প্রকল্প হাতে নিয়েছি। আমাদের সন্তান ও তাদের সন্তানদের ধারাবাহিক ও স্থিতিশীল উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য এ প্রকল্পগুলো নেয়া। তখন দুবাই হবে নতুন বৈশ্বিক কেন্দ্র।’
এ বিমানবন্দরে পাঁচটি রানওয়ে ও ৪০০টি এয়ারক্রাফট গেট অন্তর্ভুক্ত থাকবে। বর্তমানে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মতো আল মাকতুমে মাত্র দুটি রানওয়ে রয়েছে।
বৈশ্বিক এভিয়েশন খাতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ব্যারোমিটার হিসেবে কাজ করে এমিরেটস এয়ারলাইনস। এ উড়োজাহাজ পরিষেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি দুবাই থেকেই পরিচালিত হয়।
দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রাক-মহামারী ২০১৯ সালে ৮ কোটি ৬৩ লাখ যাত্রী সেবা নিয়েছিল। গত বছর এ সংখ্যা বেড়ে ৮ কোটি ৬৯ লাখে পৌঁছেছে। এর আগে ২০১৮ সালে যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৮ কোটি ৯১ লাখ, এটি ছিল মহামারীর আগে সবচেয়ে ব্যস্ত বছর। এছাড়া ২০২২ সালে যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৬ কোটি ৬০ লাখ।
এদিকে গত ফেব্রুয়ারিতে দুবাই কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২৩ সালে সর্বকালের সবচেয়ে বেশি বিদেশী পর্যটক পেয়েছে শহরটি। ওই সময় আন্তর্জাতিক যাত্রী ছিল ১ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ বেশি। এ সময় গড়ে ৭৭ শতাংশ হোটেল কক্ষ অতিথিতে পূর্ণ ছিল। এ সংখ্যাগুলো দুবাইয়ে ক্রমবর্ধমান বিমানবন্দর ও আবাসন খাতের সম্প্রসারণের চাহিদাকে চিহ্নিত করে।