ক্যাটাগরি: জাতীয়

সংখ্যালঘুদের জন্য জাতীয় কমিশন প্রতিষ্ঠাসহ ৫ সুপারিশ

সংখ্যালঘুদের জন্য জাতীয় কমিশন প্রতিষ্ঠা ও বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়নসহ পাঁচটি সুপারিশ করেছে খুলনার দলিত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি এবং ঢাকার ঋষি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল লেকশোরে এক গোলটেবিল আলোচনায় এ সুপারিশগুলো তুলে ধরা হয়।

সুপারিশগুলো হলো- সংখ্যালঘুদের অধিকার (যেমন, আদিবাসী-দলিত-সংখ্যালঘু কমিটি বা দলিত ককাস) ত্বরান্বিত করার জন্য ককাস গঠন বা সক্রিয় করা, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষা সুবিধা এবং বিভিন্ন কার্যক্রমে তাদের প্রবেশাধিকার সম্প্রসারিত ও নিশ্চিত, মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত বৈষম্য বিরোধী আইন দ্রুত বাস্তবায়ন এবং দলিত ও ঋষি সম্প্রদায়ের মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে বেসরকারিখাতে প্রণোদনা দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিদ্যমান নীতিমালা বাস্তবায়ন ও পর্যালোচনা করা।

অনুষ্ঠানে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান এম এ মান্নান সুপারিশগুলোর প্রতি সমর্থন দেন। তিনি জাতীয় সংসদে এবং পরিকল্পনাবিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভায় বিষয়গুলো উত্থাপন করার চেষ্টা করবেন বলে জানান।

বিশেষ অতিথি রিড এশলিম্যান বলেন, ইউএসএইড মানুষের অধিকার, মর্যাদা এবং জবাবদিহিমূলক সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, সুশাসন বৃহত্তর সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যায়। মৌলিক স্বাধীনতা, বহুমুখী সংলাপকে উৎসাহিত করা এবং মানুষের অধিকার রক্ষা বাংলাদেশের সমৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করবে। সব মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব।

প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রাইটস কর্মসূচির চিফ অব পার্টি কেটি ক্রোক বলেন, প্রান্তিক মানুষ, নাগরিক সমাজ ও সরকারের সমন্বিত কাজের মাধ্যমেই সম্ভব প্রান্তিক মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং উন্নয়ন অব্যাহত রাখা।

রাউন্ড টেবিল আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক, চিফ অব পার্টি ও গোয়েনডোলিন এ্যাপেন, সাবেক সংসদ সদস্য শামিমা আক্তার খানম, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা প্রমুখ।

এসএম

শেয়ার করুন:-
শেয়ার