বুধবার সকালে নবনির্মিত ঢাকা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন, ঢাকা-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ঢাকা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণভবন প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন তার বাসভবন থেকে যুক্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী আইন পেশার সংশ্লিষ্ট সকলের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বলেন, আমি সবসময় মনে করি, যারা এই কাজগুলি করবেন বা বিচার দেবেন বা বিচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তারা যেন একটু ভালোভাবে ভালো পরিবেশে বসবাস করতে পারেন, চলতে পারেন। তার জন্য যেটা করা দরকার আমরা সেটা ইতোমধ্যে করেছি।
বিচারকদের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দিকও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বিচারকদের সংখ্যা আরও বেশি বৃদ্ধি করার প্রয়োজন উল্লেখ করে বিচারক নিয়োগের সাথে সাথে আরও বেশি প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে জানান।
তিনি বলেন, আমাদের যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাজেই সেই আনুপাতিক হারে এই দিকটার দিকে দৃষ্টি দেয়া দরকার।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আরেকটি অনুরোধ করবো, আমাদের মামলার রায়গুলি কিন্তু ইংরেজিতে দেওয়া হয়। ফলে অনেক সময় আমাদের দেশে এখন হয়তো একটু লেখাপড়ার সংখ্যা বাড়ছে। তারপরও অনেকে সেই রায়টা বুঝতে পারে না। তিনি তার সহায়ক যে থাকেন তিনি যা বুঝান তাই বুঝতে বাধ্য হয়। রায় যদি কেউ বাংলায় না লিখতে পারেন, তাতে আপত্তি নাই কিন্তু সাথে সাথে সেটা বাংলায় ট্রান্সলেশন করে এটা যেন প্রচার হয় সে ব্যবস্থাটা করে দিতে হবে।