ইউরোপের সর্ববৃহৎ গ্যাসক্ষেত্র গ্রোনিংগেন আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ভূমিকম্পের ঝুঁকি সীমিত করার উদ্দেশ্যে সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসের উত্তরাঞ্চলের গ্যাসক্ষেত্রটির খনন কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধের অনুমতি দেয় দেশটির সরকার। খবর আরটি।
এর আগে গ্রোনিংগেন থেকে উত্তোলন সীমিত করা হয়েছিল। গত অক্টোবরে পূর্ণ সক্ষমতার চেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ উত্তোলন কমিয়ে আনা হয়। ভূমিকম্পের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে কয়েক বছর ধরে এ চেষ্টা করছিল গ্রোনিংগেন কর্তৃপক্ষ।
তবে গত দুই বছরের তীব্র শীত ও রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষের কারণে সৃষ্ট জ্বালানি বাজারের অস্থিতিশীলতার কারণে এতদিন গ্যাসক্ষেত্রটির ১১টি কূপ উন্মুক্ত ছিল।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে গ্যাসক্ষেত্রটি বন্ধ করতে একটি আইনে অনুমোদন দেয় ডাচ সিনেট। দুই সপ্তাহ আগে আইনটি পাসে প্রাথমিক পরিকল্পনায় থাকলেও অভ্যন্তরীণ গ্যাসের সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগের মুখে চূড়ান্ত ভোটাভুটি স্থগিত হয়েছিল।
ভোট স্থগিতের পর উত্তরাঞ্চলের প্রাদেশিক সরকারসহ স্থানীয় কর্মকর্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এমনকি শিগগিরই গ্রোনিংগেন গ্যাসক্ষেত্র বন্ধ করা না হলে পদত্যাগ করার ঘোষণাও দিয়েছিলেন নেদারল্যান্ডসের খনি সম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী হান্স ভিজলব্রিফ।
গ্রোনিংগেন গ্যাসক্ষেত্র থেকে মুনাফা বাবদ নেদারল্যান্ডস সরকার ৬০ বছরের বেশি সময়ে আয় করেছে ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। একই সময়ে শেল ও এক্সনের লাভের পরিমাণ ছিল প্রায় ৬ হাজার ৬০০ কোটি ডলার।
এমআই