ফ্রিজ থাকার সুবিধার কথা কতভাবেই তো বর্ণনা করা যায়! বাড়িতে একটা ফ্রিজ থাকলে নিত্যকার অনেক ধরনের ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়া অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। ফ্রিজ থাকা মানে অপচয় রোধও। অনেক খাবারই নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বাঁচায় ফ্রিজ। বারবার বাজার করার ঝামেলা থাকে না বলে বাঁচে সময়, খরচ আর পরিশ্রমও। কিন্তু আমরা অনেক সময় না বুঝেই ফ্রিজে এমন কিছু খাবার রেখে দিই যা আসলে ফ্রিজে রাখা ক্ষতিকর। চলুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রিজে কোন খাবারগুলো রাখা যাবে না-
আস্ত মসলা
রান্নার প্রয়োজনে আপনাকে নানা ধরনের মসলা কিনে আনতে হবে। কিন্তু সেসব মসলা দীর্ঘদিন ভালো রাখার জন্য আবার ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে যাবেন না। কারণ ফ্রিজে আস্ত মসলা রাখা হলে তার শক্তি এবং স্বাদ কমতে থাকে। মসলা ফ্রিজের আর্দ্রতাও শোষণ করতে পারে। তাই এ জাতীয় খাবার ফ্রিজে রাখবেন না।
শুকনো ফল
শুকনো ফল এমনিতেই অনেকদিন ভালো থাকে। এটি আলাদা করে ফ্রিজে রাখার প্রয়োজন নেই। কারণ আপনি যদি শুকনো ফল ফ্রিজে রাখেন তাহলে তা আরও বেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে। তখন এর স্বাদও পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। ফ্রিজের শীতল তাপমাত্রা শুকনো ফলের প্রাকৃতিক শর্করা এবং স্বাদকে প্রভাবিত করে। তাই এদিকে খেয়াল রাখুন।
জাফরান
জাফরান বেশ দামি মসলা। এর সুগন্ধ পৃথিবীবিখ্যাত। অল্প একটু জাফরান বেশ দাম দিয়ে কিনতে হয়। তাই এটি সংরক্ষণেও বেশ যত্নবান হন সবাই। কিন্তু আপনি যদি বেশিদিন ভালো রাখার আশায় ফ্রিজে জাফরান রাখেন তাহলে এর স্বাদ ও সুগন্ধ দুটোই নষ্ট হবে। ফ্রিজের তাপমাত্রা জাফরানের গুণমানও নষ্ট করে দেয়।
বাদাম এবং বীজ
ফ্রিজে বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার রাখলে তা দ্রুত বাসি হয়ে যায়। সেইসঙ্গে এ ধরনের খাবারের মুচমুচে ভাবও নষ্ট হয়ে যায়। ঠান্ডা তাপমাত্রা বাদাম এবং বীজের প্রাকৃতিক তেলকে পরিবর্তন করে দেয়, যে কারণে স্বাদেও আসে পরিবর্তন। তাই এ ধরনের খাবার ফ্রিজে রাখা থেকে বিরত থাকুন।
রুটি এবং কলা
রুটি খাওয়ার পর বাকি রুটি অনেকেই ফ্রিজে রেখে দেন। কিন্তু এটি না করাই ভালো। কারণ রুটি ফ্রিজে রাখলে তা শুকিয়ে যেতে পারে এবং আরও দ্রুত বাসি হয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে ফ্রিজে কলা রাখা হতেও বিরত থাকুন। কারণ কলা ফ্রিজে রাখলে তা কালচে হয়ে যায় এবং স্বাদও পরিবর্তন হয়ে যায়।