বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ ফি কমাতে ভুটানকে অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। গতকাল শুক্রবার থিম্পুতে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে তৃতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশন-এফওসি’তে এ অনুরোধ করেন তিনি। ভুটানকে বিবিআইএন কাঠামোতে পুনরায় যোগ দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব।
এফওসিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। অন্যদিকে, ভুটান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব পেমা চোডেন।
উভয় পররাষ্ট্রসচিব বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা পারস্পরিক স্বার্থের সব প্রধান ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন এবং সব খাত বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, বিনিয়োগ, সংযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, পর্যটন, সংস্কৃতি এবং শিক্ষাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হন।
মাসুদ বিন মোমেন মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ বাড়াতে ভুটানকে বিবিআইএন কাঠামোতে পুনরায় যোগ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যটকদের জন্য উন্নয়ন ফি প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন এবং বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য বর্তমান এসডিএফ কমানোর অনুরোধ করেন। ভুটানের কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে। দু’পক্ষ পর্যটন বৃদ্ধি এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।
উভয় পররাষ্ট্রসচিব ভুটানের রাজার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের সময় গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং সমঝোতা স্মারকগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের উপায় নিয়েও আলোচনা করেন।
ভুটানের পররাষ্ট্রসচিব অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষাগত ক্ষেত্রে অব্যবহৃত সম্ভাবনার অন্বেষণের ওপর জোর দেন এবং অর্থপূর্ণ সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব করেন। তিনি উল্লেখ করেন, ভুটান বাংলাদেশের সঙ্গে আরও বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা এগিয়ে নিতে চায়।
ভুটানের পররাষ্ট্রসচিব দুই দেশের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সফর বিনিময়ের ওপর জোর দেন।
উভয় পররাষ্ট্রসচিব পারস্পরিক স্বার্থের আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে উভয় দেশ সার্ক ও বিমসটেক প্রক্রিয়াকে পুনরুজ্জীবিত করতে কাজ করে যাবে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব ভুটানের সরকারের পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী লিওনপো ডিএন ধুংগেলের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
কাফি