ক্যাটাগরি: অর্থনীতি

পোশাক আমদানিতে শুল্ক বাড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র, বিপক্ষে ব্যবসায়ীরা

বাংলাদেশ, ভারতসহ ৫ দেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানিতে শুল্ক বাড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। যদিও মার্কিন সরকারের ওই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে দেশটির ৪ শীর্ষ বাণিজ্যিক সংগঠন।

তৈরি পোশাক আমদানিতে শুল্ক না বাড়িয়ে, বাইডেন প্রশাসনকে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড কমিশনে চিঠি দিয়েছেন ব্যবসায়িক নেতারা। বাংলাদেশ, ভারতসহ ৫ দেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর বিরুদ্ধে এই চিঠি দিয়েছেন দেশটির ৪ শীর্ষ বাণিজ্যিক সংগঠনের নেতারা। তাদের যুক্তি, শুল্ক বাড়লে তার মাশুল গুনতে হবে ভোক্তাদেরই।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশগুলোর তালিকায় চীন ও ভিয়েতনামের পরই অবস্থান বাংলাদেশের। আর বাংলাদেশি তৈরি পোশাক রফতানির দ্বিতীয় শীর্ষ বাজার যুক্তরাষ্ট্র। গেল অর্থবছরে মার্কিন বাজারে গেছে ৮৫১ কোটি ৬৯ লাখ ডলারের পোশাক, যা মোট রফতানির ১৮ শতাংশের বেশি।

২০১৩ সালে রানাপ্লাজা ধ্বসের পর থেকেই মার্কিন বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ধরে রাখতে বাংলাদেশকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে বাড়তি চাপ। গত ১১ মার্চ ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড কমিশনে বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া ও পাকিস্তান থেকে মার্কিন বাজারে পোশাকের আকস্মিক দাম বৃদ্ধির বিষয়ে তদন্ত চলাকালে এমন সিদ্ধান্তের পথে হাঁটার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

গত ২৫ মার্চ, আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন, ন্যাশনাল রিটেইল ফেডারেশন, রিটেইল ইন্ডাস্ট্রি লিডার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ইউনাইটেড স্টেটস ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড কমিশনে চিঠি দিয়ে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। সংগঠনগুলোর দাবি, শুল্ক বাড়ানো হলে, দিনশেষে ওই বোঝা বহন করতে হবে ক্রেতাকেই। চড়া শুল্কে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতারা।

ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, জেনারেলাইজড স্কিম অব প্রিফারেন্সেস (জিএসপি) সুবিধা না পাওয়ার পরও মার্কিন বাজারে তীব্র প্রতিযোগিতামূলক দামে তৈরি পোশাক সরবরাহ করছে বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া ও পাকিস্তান। যা ওই দেশের পোশাক বাজারে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণে অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কাফি

শেয়ার করুন:-
শেয়ার