ঝালকাঠিতে ট্রাক-প্রাইভেটকার-অটোরিকশার ত্রিমুখী সংঘর্ষে ১২ জন মারা গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৭ জন। আহতদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ১০ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) ঝালকাঠি পৌরসভার গাবখান ব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ও আহতদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এ ঘটনায় খুলনা-বরিশাল সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টোল প্লাজায় টাকা দেওয়ার অপেক্ষায় ছিল অটোরিকশা, প্রাইভেটকারসহ কয়েকটি গাড়ি। এ সময় সিমেন্টবোঝাই ট্রাকটি সামনে থাকা এসব গাড়িকে ধাক্কা দিলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়রা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানান তারা।
দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঝালকাঠির সিভিল সার্জন জয়নুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। সাথে স্থানীয়রাও পুলিশকে সহায়তা করছেন।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক তারাহ গুল নিঝুম গণমাধ্যমকে জানান, ঝালকাঠির গাবখান সেতু টোল প্লাজায় সিমেন্টবোঝাই ট্রাক তিনটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও একটি প্রাইভেটকারকে পেছন থেকে চাপা দেয়। এতে বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনা তদন্তে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রুহুল আমিনকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের স্পেশাল অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় সিমেন্টবোঝাই ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনগুলোর উদ্ধার কার্যক্রম চলমান আছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছেন। মরদেহ ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে রয়েছে। দ্রুতই যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।
কাফি