পরিবশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় (এনএপি) জনস্বাস্থ্যের বিষয়ও যুক্ত করা হবে। এনএপির ১১৩ এজেন্ডার মধ্যে স্বাস্থ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এখন আমরা ভাবছি, এনএপিতে স্বাস্থ্যের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্যের সঙ্গে পরিবেশের একটা সম্পর্ক আছে। কাজেই একদিকে উন্নয়ন, আরেকদিকে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য। আমাদের পক্ষে নতুন করে একটি জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা তৈরি করা সম্ভব না, প্রয়োজনও নেই। তবে বর্তমানে এনএপির যে কাঠামো আছে ও ১১৩ এজেন্ডার মধ্যে স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিয়ে আসতে চাই।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে ঢাকাস্থ সুইডিশ দূতাবাসের জলবায়ু, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি ডা. ড্যানিয়েল নোভাকের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ঢাকাস্থ সুইডিশ দূতাবাস অনেকদিন ধরে এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। তারা আগেও তাদের কিছু সুপারিশ আমাদের জানিয়েছে। কাজেই কীভাবে এ বিষয়টি নিয়ে আমরা সামনের দিকে যেতে পারি, তা নিয়ে আজ তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা আলাদাভাবে স্বাস্থ্যের এনএপি করবো না, তবে বর্তমানে যেটা আছে তাতে স্বাস্থ্যের বিষয়টিকে যোগ করতে চাই।
মন্ত্রী বলেন, সুইডেনের সঙ্গে আমাদের যে উন্নয়ন সম্পর্ক আছে, এই ক্ষেত্রটিকে ধরে সেটিকে আরও জোরদার করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত আমরা কীভাবে মোকাবিলা করবো? বন্যা, সাইক্লোন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কথা বলি, লবণাক্ততা ও খাদ্য নিরাপত্তার কথা বলি, তার সঙ্গে আমরা এখন স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিয়ে এসেছি। উপকূলীয় এলাকা ও নারীদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব আছে। এতে জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি চলে আসে। আমাদের উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা, সুপেয় পানির সংকট আছে, তারওপর স্বাস্থ্যের বিষয়টিও চলে আসে। দুবাইতে কপ২৮- এ স্বাস্থ্যের জন্য একটা দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। এটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। বাংলাদেশে এর প্রভাব বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি। সেটা আমরা কীভাবে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে পারি, সেটা দেখতে হবে।
এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, সুইডিশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি নায়োকা মার্টিনেজ ব্যাকস্ট্রোম প্রমুখ।