২০২৪ সালে বিশ্ববাণিজ্যে লেনদেনের পরিমাণ ২ দশমিক ৬ শতাংশ বাড়বে। ২০২৩ সালে বিশ্ববাণিজ্যে লেনদেনের পরিমাণ ১ দশমিক ২ শতাংশ কমেছিল বলে জানিয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)। সে হিসাবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে আশা করা যায়। তবে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে বিশ্ববাণিজ্যে ঝুঁকি আছে বলেও মনে করে সংস্থাটি।
ডব্লিউটিওর প্রধান অর্থনীতিবিদ রালফ ওসা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএনবিসিকে বলেছেন, মূল্যস্ফীতি হ্রাস ও দেশগুলোর মুদ্রানীতি প্রত্যাশা অনুযায়ী স্বাভাবিক করার ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্যে পুনরুদ্ধার ঘটেছে।
সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে ডব্লিউটিও সতর্ক করে বলেছে, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা উল্লেখযোগ্য হারে ঝুঁকি তৈরি করছে। এতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে প্রভাব পড়ার লক্ষণ দেখা দিয়েছে।
ডব্লিউটিও জানায়, তারা আশা করে যে চলতি বছরে বিশ্ববাণিজ্য ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াবে এবং পরের বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে তা আরও জোরদার হবে। কারণ, উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমে আসছে।
ডব্লিউটিওর সর্বশেষ ‘গ্লোবাল ট্রেড আউটলুক অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিক’ বা ‘বৈশ্বিক বাণিজ্য পূর্বাভাস ও পরিসংখ্যান’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ডব্লিউটিও পূর্বাভাস দিয়েছে যে এ বছর মোট বিশ্ববাণিজ্যের পরিমাণ ২ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে এবং ২০২৫ সালে তা আরও ৩ দশমিক ৩ শতাংশ হারে বাড়বে। ২০২৩ সালে মোট বিশ্ববাণিজ্য তার আগের বছরের তুলনায় ১ দশমিক ২ শতাংশ কমেছিল। তখন মূল্যস্ফীতির চাপ ও উচ্চ সুদের হার আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল।
ডব্লিউটিওর প্রধান অর্থনীতিবিদ রালফ ওসা জানান, মূলত বিভিন্ন দেশে মূল্যস্ফীতি কমায় এবং তাদের আর্থিক নীতি স্বাভাবিকীকরণের ফলে বিশ্ববাণিজ্য ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বিশ্ববাণিজ্যের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রবণতা আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে ইউরোপজুড়ে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে, যেখানে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা ও ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রায় সামরিক আক্রমণের প্রভাবে জ্বালানিসংকট তীব্র হয়েছিল। এতে ইউরোপে বাণিজ্যিক লেনদেনে পতন ঘটেছিল।
কাফি