মুক্তিপণ দিয়ে মুক্তি পেয়েছে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কাছে জিম্মি থাকা ২৩ নাবিক ও জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। কিন্তু কত টাকা মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত হলো এম ভি আবদুল্লাহ, সেই প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয়নি মালিকপক্ষের কেউ।
গত ১২ মার্চ বাংলাদেশের সময় দুপুর ১টার দিকে জাহাজ ও নাবিকরা জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ৩১ দিন পর সোমালিয়ান জলদস্যুদের থেকে মুক্তি পেয়েছেন তারা।
তবে সোমালিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম পান্টল্যান্ড মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলদস্যুদের সঙ্গে লেনদেন হওয়া মুক্তিপণের পরিমাণ ৫ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৫৫ কোটি টাকা! ডলারের ওই অঙ্ক উল্লেখ করে দিয়েছে ব্রেকিং নিউজ।
এদিকে জলদস্যুদের সঙ্গে বোঝাপড়া চূড়ান্ত হওয়ার কথা স্বীকার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছে কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত। নতুন বছরের শুরুর দিনই এমন সুসংবাদ দিলেন তিনি।
১৪ বছর আগে একই মালিকের এমভি জাহান মনি নামের আরেকটি জাহাজ জলদস্যুদের কবলে পড়ে। সেবারও তারা মুক্তিপণের অঙ্ক গোপন রাখে।
এদিকে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক চাপ ও আলোচনার মাধ্যমে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিক মুক্ত হয়েছেন। জলদস্যুদের মুক্তিপণ দেওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য তার জানা নেই বলেও জানয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, টাকা-পয়সা কিংবা মুক্তিপণের সঙ্গে আমাদের কোনো ইনভলমেন্ট নাই। টাকা দিয়ে জাহাজ ছাড়িয়ে আনা হয়েছে, এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। অনেকেই বিভিন্ন ধরনের ছবি দেখাচ্ছেন, এ সব ছবির কোনো সত্যতা নেই। ছবিগুলো কোথা থেকে আসতেছে, কীভাবে আসতেছে- সেটা আমরা জানি না। আমরা তাদের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করেছি দীর্ঘদিন। এখানে মুক্তিপণের কোনো বিষয় নেই। আমাদের আলাপ-আলোচনা এবং বিভিন্ন ধরনের চাপ আছে। সেই চাপগুলোও এখানে কাজে দিয়েছে।
কাফি