বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন আজ। দেশে চার বছর পবিত্র রমজান মাসে পহেলা বৈশাখ পালনের পর ঈদের উৎসবের মধ্যেই বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো আরো একটি নতুন বছর। রমনার বটমূলে নতুন বছরের সূর্যকে স্বাগত জানানোর মাধ্যমে শুরু হবে ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন।
সারা বিশ্বের বাংলাভাষী মানুষের জন্য আজ একটি বিশেষ দিন। পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন লোক-উৎসব। আনন্দ আর উচ্ছ্বাসের মাধ্যমে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর দিন। পুরনো বছরের সব দুঃখ, জরা, কষ্ট, অভিমান ভুলে জীবনকে নতুন করে সাজানোর প্রত্যয় নেয়ার দিন। অতীতের ভুল-ত্রুটি থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যেক সমৃদ্ধ করার দিন আজ।
আজ ভোরে সকাল সোয়া ছয়টায় সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ৩০টি পরিবেশনার মধ্য দিয়ে বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছেন ছায়ানটের শিল্পীরা। আলো ফুটতেই আহীর ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে এবারের নতুন বছর আবাহনের শুরু হয়েছে।
বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে ছায়ানটের পক্ষ থেকে যাদের প্রবেশের বিশেষ কার্ড দেওয়া হয়েছে, তারাই শুধু সীমানার ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন। অন্য সবাই বর্ষবরণের এ আয়োজন উপভোগ করতে পারবেন নিরাপত্তাবেষ্টনীর বাইরে বসে।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় রমনা বটমূল এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, বর্ষবরণ উৎসব আয়োজনে সামগ্রিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রতিটি ইউনিট সচেষ্ট রয়েছে।
বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হবে। উৎসবমুখর পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নববর্ষ উদযাপনের সার্বিক প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হবে। শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড় ও শিশুপার্ক সংলগ্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শাহবাগ মোড় হয়ে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে গিয়ে শেষ হবে।
এমআই