রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছেন, এবারই প্রথম রেলে স্বস্তিতে মানুষ ঈদযাত্রা করেছে। টিকিটে কোনো কালোবাজারি হয়নি। সিন্ডিকেটের অনেকেই ধরা পড়েছে।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রাম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এটি মন্ত্রীর রণাঙ্গনের স্মৃতি বিজড়িত গ্রাম।
মেহেরপুরে রেলসংযোগ নির্মাণে ধীরগতি প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী বলেন, মুজিবনগর রেললাইন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত প্রকল্প। এর কাজ চলমান। একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে অনেকগুলো প্রক্রিয়া আছে। দ্রুতসম্ভব চেষ্টা করা হবে।
রেলসংযোগ মেহেরপুর শহর হয়ে গাংনী উপজেলা থেকে ভেড়ামারা বা মিরপুর পর্যন্ত বাড়ানো যায় কি না, স্থানীয় সংসদ সদস্যকে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করব। রেলপথ সচিব, ডিজিসহ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ সময় তিনি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এলাকা নিয়ে কথা বলেন।
এ সময় মেহেরপুর-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এ এস এম নাজমুল হক সাগর, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ খালেক, গাংনী পৌরসভার মেয়র আহম্মেদ আলী, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী দুপুর ১২টার দিকে মেহেরপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছালে জেলা প্রশাসক শামীম হাসান ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম মুজিবনগর স্মৃতি সৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।