ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিনে হাজারো পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। সমুদ্রের নোনা জলে নেচে গেয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছে পর্যটকরা। তবে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
প্রতি বছর ঈদের ছুটিতে ভ্রমণ পিপাসুরা যান্ত্রিক শহরের একটু ক্লান্তি দূর করতে ছুটে আসেন সুর্যদয় ও সুর্যস্তের বেলাভূমি সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায়। পদ্মাসেতু চালু হওয়ার কারণে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকে সাগর কন্যা কুায়াকাটা। ঈদের ছুটিকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে সজ্জিত সাগর কন্যাকে উপভোগ করছেন।
আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। দক্ষিণের উষ্ণ নির্মল বাতাস, সাগরের নীল জলরাশি। ঈদের ছুটিতে কুয়াকাটা এসে এসব দৃশ্য উপভোগ করতে পেরে অনেকেই মুগ্ধ। অনেকে প্রিয়জনদের সঙ্গে সৈকতে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলে ছড়িয়ে দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কেউ আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন প্রকৃতি। ওয়াটার বাইক, মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চড়ে আনন্দ উপভোগ করতে দেখা গেছে অনেক পর্যটকদের।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা বাদল মুন্সি বলেন, ঢাকা থেকে সকাল ৬ টায় রওয়ানা দিয়েছি কুয়াকাটা মাত্র ৫ ঘণ্টায় পদ্মা সেতু হয়ে পরিবার নিয়ে চলে আসছি। খুব ভালো লাগছে। ঈদের ছুটিকে কাজে লাগাতে পারছি।
মাদারীপুর থেকে আসা মোসলেম উদ্দীন বলেন, আমার পরিবার নিয়ে সকালে কুয়াকাটা এসেছি। এখানে ৪ দিন থাকব। পহেলা বৈশাখের শেষ সূর্য অস্ত এবং বছরের প্রথম সূর্যোদয় উপভোগ করব কুয়াকাটা বসে। এখানে একই জায়গা বসে সূর্যোদয় এবং সূর্য অস্ত দেখা যায়। তাই কোথাও না গিয়ে পরিবার নিয়ে কুয়াকাটা এসেছি।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ আব্দুল খালেক বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে কুয়াকাটায় অনেক পর্যটকের আগমন হয়েছে। আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।