ক্যাটাগরি: জাতীয়

ঈদযাত্রার শেষ দিনে ফাঁকা রেলওয়ে স্টেশন

ঈদযাত্রার শেষ দিনে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে স্বস্তিতে রাজধানী ছাড়ছেন মানুষজন। আজ বুধবার সকালে দেখা যায়, এই স্টেশনে ট্রেনে যাত্রীর চাপ নেই। সবাই আসনে বসে আছেন। কিছু কিছু আসন ফাঁকা রেখেও যাচ্ছে ট্রেন।

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে জানায়, পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় ঈদ হবে বৃহস্পতিবার। এর আগে অনেকেই রাজধানী ছেড়েছেন প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে। যার ফলে আজ অনেকটাই ফাঁকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন।

পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে স্বামী, এক ছেলে ও এক মেয়ের সঙ্গে সিরাজগঞ্জ যাচ্ছেন গৃহিণী মাহফুজা বেগম। তিনি বলেন, যদি বুধবার ঈদ হতো তাহলে গ্রামে যেতেন না এবার। তাই গতকাল থেকে তাঁর স্বামীর ছুটি শুরু হলেও এত চাপ, যানজট, হুড়োহুড়ির মধ্যে গ্রামে যাওয়ার উদ্দেশে বের হননি। আজ অনকেটাই ফাঁকা, তাই যাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হবে- গতকাল রাতে এমন ঘোষণা আসার পর ঝুঁকি নিয়ে অনেকেই ঢাকা ছাড়েননি। যেমন রাজধানীর গুলিস্তানে একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করেন মো. হযরত আলী। তাঁর ছুটি হয় গতকাল রাত ১২টার দিকে। হযরত আলী বলেন, ‘যদি আজ (বুধবার) ঈদ হতো তাহলে যেকোনোভাবে গতকাল রাতে চলে যেতাম।’ তাঁর বাড়ি নরসিংদী। আজ সকালে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসে আসনে করে বাড়ি ফিরছেন তিনি।

গত সোমবারই নিশ্চিত হওয়া গেছে সৌদি আরবে ঈদ হবে বুধবার। এ থেকেও অনেকে ধরে নিয়েছিলেন বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে ঈদ হবে। তাই গতকাল এত যানজট ও ভিড়ের মধ্যে অনেকেই রওনা দেননি। আজ সকালে তাঁরা স্বস্তিতে ভ্রমণ করছেন। এমন একজন জামালপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী মো. মামুন মিয়া। তিনি বলেন, ‘সৌদিতে চাঁদ না দেখা যাওয়ায়ই বুঝতে পেরেছিলাম বুধবার ঈদ হবে না। হলে যেকোনোভাবে গতকালই চলে যেতাম।’

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘বুধবার ঈদ হবে না ঘোষণা আসার পর গতকাল রাত ৯টা থেকে সব ট্রেনের টিকিট উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আজ সকালে স্বস্তিতে মানুষ ট্রেনে করে বাড়ি যাচ্ছে। কিছু কিছু আসনও ফাঁকা যাচ্ছে।’

এমআই

শেয়ার করুন:-
শেয়ার