ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে উত্তরের গাড়ির চাপ ও যানজট কমাতে সকালে বন্ধ করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু সেতুর ঢাকাগামী লেন ও পশ্চিম পাড়ের টোল গ্রহণ। এরপর দুই ঘণ্টার জন্য খুলে দিয়ে আবারও বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে মহাসড়কের উত্তরের গাড়িগুলো সেতুর চার লেন দিয়ে পার করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী।
তিনি বলেন, সেতু পশ্চিম থেকে উত্তরের মহাসড়কে যান চলাচল একদম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সেতুর পূর্ব পাড়ে যানজট থাকায় সেই গাড়ি গুলোকে দ্রুত পার করে নিয়ে আসতে সকালে বঙ্গবন্ধু সেতুর ঢাকাগামী লেন ও টোল বন্ধ রাখা হয়েছিল। এরপর ১১টা ৫মিনিটে আবার খুলে দেওয়া হয়। এরপর আবারও দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।
ওসি জিলানী বলেন, দুই ঘণ্টা করে বন্ধ রেখে চারটি লেন দিয়েই ওপার থেকে গাড়িগুলোকে পার করে আনা হচ্ছে। তবে ঢাকাগামী লেনে বেশি গাড়ি না থাকায় এতে তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না। সেতু পূর্ব পাড়ের যানজট স্বাভাবিক হয়ে গেলেই সেতুর ঢাকাগামী লেন একদম খুলে দেওয়া হবে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম.এ ওয়াদুদ বলেন, মহাসড়কে গাড়ির ব্যাপক চাপ রয়েছে। রাত থেকেই এই চাপের পরিমাণটা বেশি। তবে মহাসড়কের কোথাও কোনো যানজট বা ভোগান্তি নেই। সকল গাড়ি একদম নির্বিঘ্নে চলাচল করছে।
তিনি বলেন,শিল্পকারখানা ছুটি হওয়ায় মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে আশা করছি সে সময়েই মহাসড়কে যানজটের মতো কোনো অবস্থা এ বছরে সৃষ্টি হবে না। আমরা সবার নিশ্চিত চলাচলে সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, আর একদিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। যার ফলে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। এই মহাসড়কের উত্তরের পথে কোথাও কোনো ধীরগতি বা যানজটের মতো অবস্থার এখনো সৃষ্টি হয়নি। তবে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব মহাসড়কে যানজট কমাতে বন্ধ রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু সেতুর ঢাকাগামী লেন ও টোল গ্রহণ।