চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে আগামী ১০ বা ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের আগে সবাই নিজেকে পরিচ্ছন্ন করে তুলতে ভালোবাসেন। এজন্য ছেলে-মেয়ে উভয়ই নিজের চুল, দাড়ি, গোঁফ ঈদের আঘে ছাঁটাই করেন। কিন্তু ঈদের কতদিন আগে চুল কাটানো উচিত? এমন প্রশ্ন সবার মনেই থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঈদে অন্তত এক সপ্তাহ আগে হেয়ার কাটিং করা উচিত। এতে করে কাটিংটা মুখের সঙ্গে মানিয়ে যাবে। হেয়ার কাটিংয়ের পাশাপাশি হেয়ার ট্রিটমেন্টটা করে নিতে পারেন। তাহলে ঈদের দিন চুল থাকবে হেলদি ও দেখাবে উজ্জ্বল।
আন্ডারকাট: এই স্টইলে মাথার দুই পাশের ও পেছনের চুল ক্লিপার মেশিন দিয়ে ছোট করে ফেলা হয়। এমনকি ক্ষুর দিয়ে কামিয়ে ফেলা যায়। মাথার ওপরের চুল তুলনামূলকভাবে বেশ বড় রাখা হয়। কেউ সেই চুল পেছনের দিকে আঁচড়িয়ে কম্ভ-ওভার করে। কেউ পাশে সিঁথি করে আবার কেউ মেসি স্টাইল করে রাখে।
ক্লাসিককাট: এটি একসময়ের পুরোনো একটি স্টাইল। কিন্তু মাঝেমধ্যে আমাদের চোখের সামনে আদিযুগের অনেক কিছুই আবার নতুন মাত্রা যোগ করে অত্যাধুনিক হয়ে ওঠে, যেমন ক্ল্যাসিককাট। এই স্টাইলটি মূলত ক্লিপার মেশিনের ৩-৪ নম্বর ক্লিপ দিয়ে মাথার দুপাশ ও পেছনের সাইট ছোট করে কাটা হয়। দুই পাশের জুলফি সামান্য মোটা ও মাঝারি সাইজের রাখা হয়। সামনের চুলগুলো তুলনামূলকভাবে একটু বড় রাখা হয়। যাতে করে দুই পাশে নিজের ইচ্ছেমতে সিঁথি বা ব্যাক ব্রাশ করেও স্টাইল করা যায়।
স্পাইককাট: এটিও একটি কমন হেয়ার স্টাইল। কিন্তু আপনি এর সঙ্গে আরো ভালো কিছু মাত্রা যোগ করে নতুন একটি রূপ দিতে পারেন। এই স্টইলটি করতে মূলত মাথার দুই পাশ ও পেছনের চুল তুলনামূলকভাবে ক্লিপার মেশিনের ২-৩ নম্বর ক্লিপ দিয়ে ছোট করতে হয়। সামনের চুল হালকা বড় রাখতে হয়। সে সঙ্গে কেউ চাইলে ডান বা বাম পাশের কান থেকে ঠিক একট-ওপরে ক্ষুর দিয়ে লম্বা করে ২ ইঞ্চির মতো কেটে সুন্দর সেড অ্যাড করতে পারে। এই স্টাইলটি মূলত হার্ড জেল, হেয়ার ওয়াক্স বা স্প্র্রে দিয়ে সেট করতে হয়। যাদের বয়স ১৫-৩০ তাদের মধ্যে স্টাইলটি বেশ মানানসই।
ফেডকাট: এই স্টাইলটি এবার বেশি দেখা যাচ্ছে। মাথার দুই পাশের চুল কান পর্যন্ত ক্রমাগতভাবে ক্লিপার মেশিন দিয়ে ছোট করতে হয় ও পেছনের চুল তুলনামূলকভাবে একটু বড় রাখতে হয়। এটাকে বলে ফেডকাট। কিন্তু সব ফেডকাট একই রকম নয়। চুলের দৈর্ঘ্যরে ওপর নির্ভর করে এর বৈচিত্র্য। যেমন : ফেড, হাইফেড, ভলিউম ফেড, ট্যাপার ফেড ইত্যাদি।
ফরোয়ার্ড গ্রাজুয়েশন লেয়ার: ঢেউ খেলানো চুল এবং স্ট্রেইট চুলের জন্য এ কাট উপযোগী। নিচ থেকে চুলের আগা পর্যন্ত সামনের দিকে লেয়ার করে কাটা হয় এ স্টাইলে। তবে যাদের গলা ছোট ও উচ্চতা কম তারা এ স্টাইলটি করবেন না। গোলমুখ এবং লম্বা চুলের জন্য এ কাটটি মানানসই।
লেয়ার শ্যাগ: লম্বাটে বা ডিম্বাকার মুখের গড়নে এবং ভালো মানায় এ হেয়ার কাট। ষাটের দশকে খুব জনপ্রিয় ছিল এ হেয়ার স্টাইলটি। শ্যাগে অনেক লেয়ার করে কাটা হচ্ছে চুল। এতে চুলের ভলিউম বেশি দেখায়। এ স্টাইলে চুল কমপক্ষে কাঁধ পর্যন্ত কিংবা এর থেকে বেশিও রাখা যায়।
ব্যাংস কাট: এ গরমে ব্যাংস কাট বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফ্রন্ট ব্যাং, বেবি ব্যাং, রঙিন ব্যাংগুলো এখন ফ্যাশন। মুখের আকৃতি, চুলের দৈর্ঘ্য এবং টেক্সচারের ভিত্তিতে বেছে নিতে পারেন হেয়ার ব্যাং। মনোযোগ আকর্ষণ করতে এটি হতে পারে একটি স্টাইলিশ হেয়ার কাট।
ব্লো ড্রাই: ৯০ দশকের ব্লো ড্রাই ইতোমধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যদিও কেউ কেউ মনে করতে পারে যে, এ স্টাইল পাওয়া চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু সহজেই হেয়ারড্রাই দিয়ে চুলে ব্লো-ড্রাই তৈরি করতে পারেন। এ হেয়ার স্টাইলে আপনার চুল উজ্জ্বলতায় পূর্ণ থাকবে।
এমআই